নজর কেড়েছে হবিগঞ্জে ‘হাঁসের গ্রাম ভাটিপাড়া’

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০১৯

নজর কেড়েছে হবিগঞ্জে ‘হাঁসের গ্রাম ভাটিপাড়া’

হবিগঞ্জে হাঁসের গ্রাম হিসেবে নজর কেড়েছে ভাটিপাড়া গ্রাম। হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছোট এই গ্রামবাসী একসময় ধান চাষ ও মৎস্য শিকারের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। বর্তমানে গ্রামের সকলেই হাঁসের বাচ্চা বিক্রি করাকে জীবিকা নির্বাহের প্রধান উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রক্রিয়ায় ডিম থেকে হাঁসের বাচ্চা ফোটানোর ক্ষেত্রে তারা যে সাফল্য অর্জন করেছেন তা অনুকরণীয়। বর্তমানে এই গ্রামে উৎপাদিত হাজার হাজার হাঁসের বাচ্চা এলাকার চাহিদা পূরণ করে পার্শ্ববর্তী জেলার হাঁস খামারগুলোতেও যাচ্ছে। প্রতিদিনই এই গ্রামে একদিন বয়সী হাঁসের বাচ্চা কেনার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন হাঁস খামারিরা। উৎসবমুখর পরিবেশে হাঁসের বাচ্চা বিক্রি চলবে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত। বর্তমানে একদিন বয়সী হাঁসের বাচ্চা প্রতিটি ১৫ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। চৈত্র মাসে এর দ্বিগুণ বা বেশি দরে বাচ্চা বিক্রি হয়।

ঐ গ্রামের হাঁসের বাচ্চা ব্যবসায়ী লাল মোহন দাশ, গোপেশ দাশ জানান, হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে বিক্রি করে তাদের গ্রামের প্রায় ১০০ পরিবারের সকলেই স্বাবলম্বী হয়েছে।

লাল মোহন দাশ জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৪৫ হাজার এবং গোপেশ দাশ ১ লক্ষ ২০ হাজার হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে বিক্রি করেছেন।

জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে ভাটিপাড়া গ্রামের সুবোধ দাশ প্রথমে হাঁসের ডিম থেকে দেশীয় পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটিয়ে তা বিক্রি শুরু করেন। পরবর্তীতে তার নিকট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রামের প্রায় সবাই এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। হাজার হাজার ডিম ধানের ডোলে ১৮ দিন রাখার পর ১০ দিন বাঁশের মাচায় স্থানীয়ভাবে তৈরি ইনকিউবেটরে রাখা হয়। ডিমে প্রয়োজনীয় তাপ দেয়া হয়। মোট ২৮ দিন পর বাচ্চা ফুটে। হাঁসের বাচ্চা ফোটার এ দূশ্য সকলেই উপভোগ করেন। ১ হাজার হাঁসের ডিম ৮/৯ হাজার টাকায় ক্রয় করে ডিম ফুটানোর পর যে বাচ্চা পাওয়া যায় তা ১৫/১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এতে বিক্রেতার যে লাভ হয় তাতে সাংসারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য কোনো অসুবিধা পোহাতে হয় না।

গ্রামবাসী জানান, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও ঋণ পাওয়া গেলে এই ব্যবসার আরো প্রসার করা সম্ভব হবে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..