সিলেট ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০৯ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০১৯
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে তৃতীয় শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী কে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে লাল মিয়াকে আসামি করে সোমবার জগন্নাথপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ এলাকাবাসী ও শিশুটির পরিবার সূত্র জানায়,জামালপুর রোডর এলাকার বাসিন্দা এক কৃষকের আট বছরের মেয়ে স্হানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুন নূর এর বাড়িতে বসবাসকারী হবিগঞ্জ জেলা সদরের হাসপাড়া বাসিন্দা আব্দুল হাশিমের চার সন্তানের জনক লাল মিয়া ঘরে ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে বিবস্ত্র করে ধর্ষনের চেষ্ঠা চালায়। মেয়েটির চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে লাল মিয়া পালিয়ে যায়।
পরদিন রোববার মেয়েটির বাবা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুন নূর এর কাছে এ ঘটনার বিচার প্রার্থী হলে তিনি বিচার না করে মেয়েটির বাবাকে ঘটনাটি কাউকে না বলতে নিষেধ করেন এবং লাল মিয়া কে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবেন বলে জানান। পরে মেয়েটির বাবা জগন্নাথপুর থানায় এসে লাল মিয়া কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে লাল মিয়া স্বপরিবারে পালিয়ে যায় এবং লন্ডনী আব্দুন নূরও আত্মগোপনে চলে যান।
মেয়েটির বাবা জানান, আমার মেয়েকে খুব কষ্ট দিয়েছে পাষান্ড লাল মিয়া। সে কষ্ট সয্য করতে না পেরে জোরে চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বন্ধ দরজায় ধাক্কা দিলে লাল মিয়া দরজা খোলে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন ঘটনার পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রবাসী আব্দুন নূর এর কাছে বিচার চাইলে তিনি বিচার না করে ধামাচাপা দেন। পরে আমি পুলিশের শরণাপন্ন হই। এ ঘটনায় আমাদের পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপ পরিদর্শক এস. আই লুৎফুর রহমান জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকম কে জানান, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর হাকিম আদালতে
ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে সোমবার বিকেলে শিশুটি জবানবন্দিতে ধর্ষনের চেষ্ঠার কথা বলেছে। আমরা আসামি গ্রেফতারের চেষ্ঠা করছি। তিনি বলেন, এ মামলার তদন্তে প্রমান পাওয়া গেলে পালিয়ে যেতে সহযোগীকারীরাও আসামি হতে পারে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বদিয়ে দেখছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd