সিলেট ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৮, ২০১৯
সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমায় দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে অপরাধ। এই সকল অপরাধের মূলহোতা হচ্ছেন রনি ও জনি তার দুই ভাই। দক্ষিণ সুরমা এলাকাজুড়ে রয়েছে রনি-জনিদের বিশাল একটি চক্র। এই চক্রটি বড় বড় অপরাধ করেও রহস্যজনক কারণে থানা পুলিশের হাত থেকে ছাড় পাচ্ছে। যার ফলে তারা দিনের পর অপরাধ জগতে রামরাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে এই চক্র।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল ফুল কলির সামনে দুটি পানের দোকানের সাথে ছিলো এই চক্রটির রহম দহম। এই দুই পানের দোকান গভির রাত পর্যন্ত খোলা রাখা হতো। ওই দোকান গুলোতে রনি-জনিদের মাদক বিক্রি হয়। এমন খবর শুনে গত (১৪ জুন) শনিবার ধরাধরপুরসহ পাঁচটি গ্রামবাসী এই দুই পানের দোকান বন্ধ করে দেন। কিন্তু তেলীবাজারে তাদের আরও একটি আস্তানা রয়েছে, সেখান থেকে তারা মাদক, চুরি-ছিনতাইসহ বড় বড় অপরাধ করে যাচ্ছে।
দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুরের মৃত মজিদ আলীর পূত্র ইয়াকুব আলী জানান, ধরাধরপুর গ্রামের শওকত আলীর পূত্র জনি ও রনি মিলে দক্ষিণ সুরমা এলাকায় একটি অপরাধের রাজত্ব করে যাচ্ছে। এলাকাজুড়ে এই চক্রটি বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই চক্রটি গত মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষনের সামনে একজন ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তার ভাই আব্বাস আলীর উপর মাহলা করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আব্বাসের তিনি বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১১(তারিখ ১২/০৬/১৯)। ওই মামলার পর রনি ও জনির উপস্থিতিতে ধরাধরপুর গ্রামের শিল্পপতি হুমায়ুন আহমদের বাড়িতে গত শুক্র, শনি ও রোববার তিনদিন শালিস বৈঠক করা। আমাগী শনিবার একি বাড়িতে আবও বৈঠক হবে। কিন্তু স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন বিরাজ করছে। রনি ও জনি সালিশে উপস্থিথ থাকলেও পুলিশ রহস্যজনক কারনে তাদের গ্রেফতার করছেনা।
ওই মামলায় আসামীরা হলেন, দক্ষিণ সুরমা থানাধীন এলাকা ধরাধরপুর গ্রামের শওকত আলীর পূত্র জনি ও রনি। লাউয়াই শাপলা গেইট এলাকার নজু মিয়ার দুই পূত্র নাজিম ও নাইম। পিনাক দে পাপ্পু, ফাহিম, মুরাদ আহমদ, সাকিব আহমদ, অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগে প্রকাশ এই মামলার আসাসিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজন কারণে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা। এভাবেই সকল ঘটনা থেকে এই চক্রটি ছাড় পেয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল জানান, এই মামলার আসামিদের গ্রেতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। এমনকি ওই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় ভিবিন্ন মামলা রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd