সিলেট ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৯
সিলেট নগরীর ক্বীন ব্রিজের নিচের এক চা-বিক্রোতা নারীরকে সৌদি আরবে পাঠানোর নামে ৩ লাখ টাকা গ্রহণের পর প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
চা-বিক্রোতা লাকি বেগম জানান, সিলেট নগরীর সুরমা টাওয়ারের ৩য় তলায় অবস্তিত মুসাফির ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস। এই ট্রাভেলস এর মালিক জাহিদ কাওসার প্রতিদিন ব্রিজের নিচে তার দোকানে গিয়ে চ-পান করতেন। এই সুবাদের জাহিদের সাথে পরিচয় হয়। পরে জাহিদ নিজে একদিন লাকিকে বলেন আমি আপনাকে বিদেশ পাঠিয়ে দিবো। দেখেন আপনে আমাকে যাদি খরচ দিতে পারেন। পরে লাকি তার এমন কথায় রাজি হন। এরপর লাকি এবং জাহিদের সকল কথাবার্তা সম্পন্ন হয়। জাহিদ বলেন আমি আপনাকে সৌদি আরবে একটি কোম্পানির কাজে দিবো। এর বিনিময় জাহিদকে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে। লাকি অনেক চিন্তা ভাবনা করে এবং তার অসহায় ছোট দুই মেয়ের ভবিষ্যতের বিষয়টি দেখে তিনি রাজি হয়। এমনকি লাকি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা দ্বার করেন এবং জাহিদের সকল টাকা দুই ধাপে প্রদান করেন।
লাকি আরও বলেন, তাকে বিদেশ পাঠানোর আগের দিন গত ১৭ এপ্রিল ঢাকায় একটি হোটেলে নিয়ে জাহিদ রাত্রিযাপন করেন এবং তাকে পাসপোর্ট ভিসা না দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার সাথে শারিরীক মিলন করেন। এপর গত ১৮ এপ্রিল লাকি সৌদি আরবে গিয়ে তিনি বুঝতে জাহিদ তার সাথে প্রতারণা করেছে। এমনকি তাকে একটি বাসার কাজে দেওয়া হয়েছে। এরপর লাকি তার টাকার বিষয়টি চিন্তা করে ওই বাসার কাজ করতে রাজি হন। সৌদি আরবীর বাসায় যাওয়ার পরই শুরু হয় তার উপর একেরপর এক শারিরীক নির্যাতন। এই নির্যাতনের মধ্য দিয়ে লাকির ৭/৮ দিন পার হলেও বন্ধ হয়নি তার উপর শারিরীক নির্যাতন।
এরপর লাকি ওই কফিলের বাসা থেকে পালিয়ে গত ৩০ এপ্রিল ফের বাংলাদেশে আসেন। আসার পর ট্রাভেলস মালিক জাহিদের কাছে তার ক্ষতিপূরণ ফিরত চাইলে জাহিদ তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এখন লাকি তার অসহায় দুই মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ট্রাভেলস মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd