সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৯
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পাঠানগাও গ্রামের ভেতরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়েই পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তুলেন বহিরাগত নজরুল মিয়া ও তার সহযোগিরা।
বিগত ৫-৬ মাস থেকে গ্রামের বসতি এলাকায় পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলায় এলাকার সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তাই পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধ করতে মঙ্গলবার (১১ জুন) পাঠানগাও গ্রামের শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ সিলেট জেলা প্রশাসক, খাদিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সিলেট সদর থানা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দায়ের করেন। এর আগেও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় বরাবরেও আবেদন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
অভিযোগে তারা উলেখ করেন, বিগত ৫-৬ মাস পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে বহিরাগত নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা পাঠানগাও গ্রামের ভেতরে পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তুলেন। প্রতিদিন এই ফার্মের ময়লা আবর্জনা খোলা জায়গায় ফেলা হয়। দুর্গন্ধের কারনে পুরো গ্রামবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন। ছোট ছেলে-মেয়েরা নানা ধরণের অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে খোলা জায়গায় গ্রামের মানুষজন চলাফেরা করতে পারছেন না। দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করায় নানা রোগে ভুগছেন।
স্থানীয়রা বারবার পোল্ট্রি ফার্ম মালিকদের ফার্মটি বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানান। এমনকি স্থানীয়রা পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের কাছে সরাসরি একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ইছরাত জাহান পান্নাকে উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
তবুও অজ্ঞাত কারণে পরিবেশ অধিদপ্তর পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী সরকার ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগকারীরা হলেন, আনছর আলী, রঞ্জিত পাল, নিজাম, হানিফ আলী, আশরাফ আহমদ, কাহের মিয়া, আব্দুর রহিম, আনোয়ার, নেওয়ার, আতাফুল মিয়া, হেলাল মিয়া, সামছুল মিয়া, নজরুল মিয়া, আজমল আলী, নুর মিয়া, আলাই মিয়া, সাবেক মেম্বার ফারুক আহমদ প্রমুখ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd