সিলেট ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০১৯
একই সাথে সরকার অনুমোদিত দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করায় দোয়ারার চামতলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। দু’জেলার দুটি পৃথক উপজেলায় সরকারী বিধি উপেক্ষা করে এ মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মুকিত শিক্ষকতার পাশাপাশি নিকাহ ও তালাক রেজিষ্টার হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছেন। ফলে শিক্ষকতা এবং নিকাহ ও তালাক রেজিষ্টার কোনটিরই তিনি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আব্দুল মুকিত বিশ্বানথ উপজেলার উদয়পুর গ্রামের মৃত শমশের আলীর পুত্র এবং লামাকাজী ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিষ্টার। একই সাথে তিনি চামতলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার পদে কর্মরত রয়েছেন। এ ব্যাপারে বিশা¦নাথ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদির নামের এক ব্যক্তি আব্দুল মুকিতের বিবাহ ও তালাক রেজিষ্টার লাইসেন্স বাতিল করে নুতনভাবে লাইসেন্স প্রদানের জন্য ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারী সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন দেন। আবেদন থেকে জানা যায়, আব্দুল মুকিত শিক্ষকতার পাশাপাশি লামাকাজী ইউনিয়ন মুসলিম নিকাহ ও তালাক রেজিষ্টার পদ বেআইনীভাবে দখল করে সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। সরকারী বিধি অনুযায়ী নিকাহ ও তালাক রেজিষ্টার পদে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তির নিয়োগ এলাকা সংলগ্ন কোন মসজিদ, বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ব্যতিত অন্য কোথাও চাকুরী করার সুযোগ নেই। কিন্তু আব্দুল মুকিত নিজ নামে ভিন্নতা এনে নিয়োগ বিধি উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে দু’জেলার দুটি পৃথক উপজেলায় শিক্ষকতার পাশাপাশি নিকাহ ও তালাক রেজিষ্টার হিসেবে নিয়োগ নিয়ে সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। মুসলিম নিকাহ ও তালাক রেজিষ্টার পদে তিনি আব্দুল মুকিত এবং মাদ্রাসায় সহকারী সুপার পদে তিনি এম এ মুতিক নাম ব্যবাহার করায় বিষয়টিও লোক নজরে এসেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে একইসাথে সরকারী দুটি সুবিধা ভোগ করা আব্দুল মুকিতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একই সালের ১৪ এপ্রিল সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান স্বাক্ষরিক একটি প্রতিবেদন আইন, বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে প্রেরন করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে এখনো সরকার অনুমোদিত দুটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত দেখিয়ে সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা আব্দুল মুকিতের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। তিনি দোয়ারায় নিয়মিত অবস্থান করে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করায় বিবাহ ও তালাক সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি সময় দিতে পারছেন না। ফলে বিবাহ ও তালাক সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকার লোকজন বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এ সুযোগে আব্দুল মুকিতের ব্যক্তিগত সুবিধাভোগীরাও এলাকার সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ন হওয়ায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd