সিলেট ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০১৯
বড়লেখায় প্রকাশ্য দিবালোকে অবুঝ সন্তানের চোখের সামনে পাষন্ড স্বামীর উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাতে পান্না বেগম (৩০) নামের দুই সন্তানের জননীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১০ জুন) সকাল ৬টায় বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ইটাউরী শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত গৃহবধূ পান্না বেগমের বাবার বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের জলঢুপ দক্ষিণ পাড়িয়াবহর এলাকায় এবং ঘাতক স্বামী মতছিন আলীর বাড়ি বড়লেখা উপজেলা তালিমপুর ইউনিয়নের কলারতলী এলাকায়।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৩ মাসে পূর্বে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি জলঢুপের দক্ষিণ পাড়িয়াবহরে চলে আসেন নিহত পান্না। বাবার বাড়ি আসার সময় বড় মেয়ে সুহানা (৭) কে সাথে নিতে দেয়নি তার শশুর বাড়ির লোকজন। বড়লেখার ইটাউরী এলাকার ফুফুর বাড়িতে সুহানা অসুস্থ এমন খবর পেয়ে অসুস্থতার রবিবার মেয়েকে দেখতে ছুটে যান পান্না। আজ সোমবার ভোরে অসুস্থ সুহানাকে স্থানীয় এক হুজুরের কাছে নিয়ে যাবার সময় ইটাউরী শাহী ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকায় তার স্বামী মতছিন এসে গতিরোধ করে। এ সময় নিহত পান্না মেয়েকে নিয়ে যেতে চাইলে মতছিন তাকে সাথে থাকা ছুরি দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে। পান্নার পেট, গলা ও মুখে ছুরি আঘাত রয়েছে।
বড় মেয়ের সুহানার চোখের সামনে পিতা মতছিন ছুরিকাঘাত করে স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যায়। সুহানার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পান্নাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পান্নার মৃত্যু হয়। বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পেঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতটি গভীর। আমাদের ধারণা পেঠের এ আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবনী শংকর কর বলেন, আমরা খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যাই। পরে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে বড়লেখা থানার কছে হস্তান্তর করেছি। তারা প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইয়াসিনুল হক বলেন, লাশ সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার থেকে ঘাতক মতছিন পলাতক রয়েছে। আমরা আলামত সংগ্রহ করার পাশাপাশি ঘাতককে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। তিনি জানান, নিহত পান্নার পিতার বাড়ির পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd