সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০১৯
সিলেট জেলাধীন বিশ্বনাথের দশঘর ইউনিয়নের চান্দভরাং গ্রামের আদম ব্যবসায়ী ও সক্রিয় দালাল চক্রের সদস্য আনজব আলীর পুত্র সিজিল আহমদ সাহান (৩৫) একাধিক মামলায় গ্রেফতারী পরোওয়ানা নিয়ে ধরাছুয়ার বাহিরে থাকলেও এ ব্যাপারে থানা পুলিশ রয়েছে নিরব। স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশগামী প্রতারিত ছাত্ররা জানান, সিজিল আহমদ সাহান সিলেট নগরীর কানিজ প্লাজার ৪র্থ তলায় এক্টেপ গ্লোবাল টাচ’ নামে ট্রাভেলস খুলে বিভিন্ন মাধ্যমে জাল ভিসা দিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সিজিলের প্রতারনায় সিলেট সদরের মিরের ময়দানের আনোয়ার হোসেন’র কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা, নাজমুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ,সুনামগঞ্জের আবু সুফিয়ান এর কাছ থেকে ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা, ওয়াদুদ নামের আরেক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা, রোটারী ক্লাবের ইকবাল হুসেন এর কাছে থেকে ৪৫ হাজার টাকা, ক্রিতেশ দাস’র কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা, সর্বশেষ তার শশুর বাড়ির এক আত্বীয়ের নিকট কাছ থেকে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক ধান্ধাবাজ সিজিল। সিজিল বিভিন্ন সময়ে নিজেকে বিভিন্ন পরিচয়ে দিয়ে থাকে এমনকি ইতিপর্বে সে সিলেট রোটারি ক্লাবের সদস্য পরিচয় বহন করেছে ।
ইতিপূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে এমন প্রতারনার খবর চাউর করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন ছাত্রী। তবে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে বিদেশে পাঠানোর নামে অনেকের সাথে প্রতারণা করে তাদেরকে নিস্ব করে দিয়েছে প্রতারক সিজিল আহমদ সাহান।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের আবু সুফিয়ানকে ইউক্রেন রাষ্ট্রে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোট ৯লক্ষ ৬৮হাজার টাকা গ্রহনের পর পরবর্তীতে তাকে বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হয় ঐ প্রতারক। একপর্যায়ে আবু সুফিয়ান সিজিলকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করলে একদিন বাদীর বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে তাকে ব্রাক ব্যাংকের এক্টেপ গ্লোবাল টাষ্ট নামীয় ৬৩০৩২০২৩২৯১১৩০০১নং হিসাব এর বিপরীতে চেক-নং সিপিএ-৪৩৬৪২৬এর মাধ্যমে ৪লাখ ৪৬হাজার ৫শত টাকার একটি চেক, ৩৬হাজার ৫শ’ টাকার একটি এবং ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার আরেকটি চেক বাদীর নামে প্রদান করে।
বাদী চেক ৩টির টাকা নগদায়নের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক সুনামগঞ্জ শাখায় জমা দিলে একাউন্টে অপর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ১৮অক্টোবর ২০১৮ইং আসামীর প্রদানকৃত চেক ২টি ডিজঅনার করেন। এবষিয়ে বাদীপক্ষে আদালতে মামলা ২টি পরিচালনা করেন এডভোকেট মতিউর রহমান পীর। মামলা দুটির রায়ে বিজ্ঞ আদালত পলাতক আসামী সিজিল আহমেদ সাহানকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। দন্ডাদেশ এর সাজা পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট সিলেট ও বিশ্বনাথ থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। তার নামে। এযাবৎ তার উপর প্রায় ১৭/১৮ টি ওয়ারেন্ট আছে বলে জানাযায়।
একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পালাতক আদম ব্যাবসায়ী সিজিল আহমদ সাহানকে দির্ঘদিন থেকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় ভুক্তভোগী এবং স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন । সেই সাথে পুলিশ বিভাগ ও আইনসৃংখলা বাহীনির উপর থেকে দিন দিন আস্থা হারিয়ে ফেলছে সাধারণ মানূষ।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানা ওসিকে বাবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ক্রাইমসিলেট/আফ
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd