সিলেটে স্বপ্না-পপিসহ পকেটমার চক্রের ১৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২:২১ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩, ২০১৯

সিলেটে স্বপ্না-পপিসহ পকেটমার চক্রের ১৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেট নগরীতে দীর্ঘদিন থেকে কোতোয়ালী পুলিশের শেল্টারে নারীর পকেটমাররা বেপোরোয়া হয়ে ছিনতাই করে করছিলো। ধরা পরার পর স্বপ্না হয়ে যায় নাছিমা। ঈদের বাজারে ১৫ সদস্যে এই নারী পকেটমার চক্র সক্রিয়।

গত শনিবার ১ জুন নগরীর জিন্দাবাজার কাকলী শপিং সেন্টার থেকে স্বপ্নাকে আটক করে জনতা এর পর পুলিশের কাছে সপোর্দ করে। এর পর পুলিশ সাংবাদিকদের স্বপ্নাকে নাছিমা বলে পরিচয় দিলেও সিল নিউজ বিডি ও ক্রাইম সিলেটের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার আসল তথ্য।

স্বপ্না তিনি নগরীর বালুচর এলাকার বাসিন্দা। শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে স্বপ্নাকে আটক করা হয় এ সময় তার সহযোগি পপি পালিয়ে যায়। কোতোয়ালী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন আটককৃতর নাম নাসিমা। সিল নিউজ বিডি ও ক্রাইম সিলেটের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আটককৃত নগরীর চিহ্নিত নারী পকেটমার স্বপ্না।

এর আগেও পকেটমারের সময় পপি ও স্বপ্না পুলিশের হাতে একাধিকবার আটক হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই তারা ‘অদৃশ্য শক্তি’ বলে সহজেই পার পেয়ে যায়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে আটক হয় স্বপ্না। জেল থেকে বের হয়ে আবার সে পকেটমারের কাজে নামে।

এসকল সংবাদ প্রকাশের পর কোতোয়ালী থানা পুলিশের টনক লড়া দেয়। স্বপ্না পপিসহ আরো ১৫ ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ে করা হয়। সূত্র জানায়, সিলেটের বিভিন্ন মার্কেট ও মাজারে ছদ্মবেশে এই নারী পকেটমার চক্র ঘুরে বেড়ায়। সুযোগ বুঝে তারা মার্কেট ও মাজারে আসা নারীদের ব্যাগে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন সেট হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। সুত্র আরও জানায়, এই চোর চক্রের মুল হোতা বেশ কয়েকটি ছিনতাই মামলার আসামী সজল। সজল তাদেরকে থানা থেকে বাচায়।

সজলের মাধ্যমে এসএমপির কোতোয়ালি পুলিশ ম্যানেজ হয়। মাঝে মধ্যে জনতার হাতে এই চক্রের সদস্যরা আটক হলেও বেশিরভাগ সময়ই থানা থেকে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। শনিবার বিকালে কাকলি শপিং সিটির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা। গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে ৩ টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..