সিলেট ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ, মে ২৭, ২০১৯
সিলেটের কানাইঘাটে ভারতীয় পাগলা মহিষের তান্ডবে আহত জব্বার মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত শনিবার বিকাল ৫ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ১১ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে তিনি হেরে যান। গতকাল রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি’র তার নিজ গ্রাম কান্দলা জামে মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে মহল্লার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ১৫ মে বুধবার সকালে ঐ ইউপি’র সীমান্তবর্তী সোনারখেওড় গ্রাম হয়ে একটি ভারতীয় পাগলা মহিষ এলাকায় পাগলা দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। তার দৌড়া-দৌড়িতে সোনারখেওড়, ডাউকেরগুল, কান্দলা সহ কয়েকটি গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পাগলা মহিষের তান্ডবে গুরুতর আহত হন, বাংলাটিলা গ্রামের বাবুল আহমদ (৪০), তার ভাতিজি তানহা (১১), ডাউকেরগুল গ্রামের নাজিম উদ্দিন (৪০), কান্দলা গ্রামের জব্বার মিয়া (৪০)। এদের মধ্যে জব্বার মিয়া মারা গেছেন। ঐ মহিষটি চোরাকারবারী কান্দলা গ্রামের জামাল আহমদ ও দিঘীরপাড় ইউপির দিঘীরপাড় গ্রামের কামাল আহমদের ছিল। তারা ঐদিন ভোরে তাদের মালিকানাধীন একদল গরু-মহিষ ভারত থেকে অবৈধভাবে সোনার খেওড় গ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে ঐ মহিষটি হঠাৎ করে দলছুঠ হয়ে এলাকায় তান্ডব শুরু করে। এতে গ্রামের মানুষ প্রথমে ঐ মহিষের তান্ডব দেখে মনে করেছিল এটি ভারতের জঙ্গলের বনু মহিষ হতে পারে। এ জন্য সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষ জড়ো হয়ে লাটিসোঠা দিয়ে মহিষটিকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে তারা মহিষটিকে কৌশলে রশি দিয়ে বেধে ফেলেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ঘটনাস্থলে গিয়ে, পাগলা মহিষকে ইনজেকশন দিয়ে নিস্তেজ করেন। নিস্তেজ হওয়ার পর তার মৃত দেহ মাটিতে পুতে ফেলা হয়। পরে অনুসন্ধানে জানা যায় ঐ মহিষটি উল্লেখিত চোরা কারবারিদের। উল্লেখ্য, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রতিদিন চোরা কারবারীরা হাজার হাজার গরু-মহিষ ভারত থেকে নিয়ে আসছেন। এসব গরু মহিষ লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি, দিঘীরপাড় ও সাতবাঁক ইউপির বিভিন্ন এলাকা দিয়ে আসছেন। এতে অনেকের বাড়ির ফসল, ফসলী জমি, বাড়ীর আঙ্গিনা সহ গ্রামীণ রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বলে এলাকার লোকজনরা জানিয়েছেন। এছাড়াও তারা জানান ভারত থেকে চোরাই পথে আনা এসব গরু মহিষকে মাদক খাওয়ানো হয় এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd