সিলেট ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০১৯
রাজধানীর ক্যার্ন্টমেন্ট এলাকায় ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার নামে সহকর্মীর বিপুল পরিমান টাকা আত্নসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আলোচিত জনতা ব্যাংক মিরপুর ১০ শাখার সিনিয়র অফিসার লিমা খানমের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বর্তমানে আলোচিত এ ব্যাংক কর্মকর্তা কাশিমপুর কারাগারে রয়েছে ।
মিরপুর মডেল থানা পুলিশ শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হাফিজুর রহমান ব্যাংক এ কর্মরত থাকা অবস্থায় তার ই সহকর্মী সিনিয়র অফিসার লিমা খানম এর সাথে একই ব্যাংক এ চাকরির সুবাদে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে কথায় কথায় আলাপ আলোচনার মধ্যে হাফিজুর রহমান কে তার সহকর্মী লিমা খানম তাহার বাবার তৈরি ব্যবসায়ীক ফ্লাট ক্রয়ের প্রস্তাব দিলে হাফিজুর রহমান তাহার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে লিমা খানম এর বাবার ব্যবসায়ীক তৈরি ফ্লাট ক্রয়ের জন্য ৫৫ লক্ষ টাকায় সম্মতি দেন। এভাবে বহু কষ্টে সিনিয়র অফিসার হাফিজুর রহমান তার রাজশাহী শহরের পৌনে তিন কাঠা জমি বিক্রি করে এবং বন্ধু মহলের কাছে লভ্যাংশ দিয়ে ধারকর্য করে তার সহকর্মী লিমা খানম কে ৩২ লক্ষ টাকা প্রদান করেন কখনোই ব্যাংকের মাধ্যমে আবার কখনও সরাসরি হাতে হাতে। ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়ার সময় আসলে সিনিয়র অফিসার লিমা খানম হাফিজুর রহমান কে বিবাহিত জেনেও বিয়ের প্রস্তাব দেন। হাফিজুর রহমান তার এই প্রস্থাবে অসম্মতি জানাই তখন সে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দেওয়ায় জন্য টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে হাফিজুর রহমান আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা বললে সিনিয়র অফিসার লিমা খানম নিজেই মিথ্যা প্রতারণা ভাবে ধর্ষন মামলা করে হাফিজুর রহমান কে জেল হাজতে প্রেরন করে। সিনিয়র অফিসার লিমা খানম একজন বিবাহিত নারী হয়ে ও অবিবাহিত বলে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১ মাস ১৭ দিন জেল হাজতে থাকার পর হাফিজুর রহমান জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লিমা খানম এর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ করার মামলা দায়ের করে আদালত লিমা খানম এর বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়ে তাকে সমনজারি করেন। এতেও লিমা খানম আদালত কে তোয়াক্কা না করে সমন পাওয়ার পর ও হাজির না হয়ে আদালত কে অসন্মান করিলে আদালত লিমা খানম এর নামে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট দেই। এতে মিরপুর থানার এস আই সাহাবুর লিমা খানম এর কর্মস্থল মিরপুর শাখা ১০ জনতা ব্যাংক থেকে গত বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে গ্রেফতার করেন। শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত সিনিয়র অফিসার লিমা খানম কে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বর্তমানে সে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছে।
মামলার বাদি হাফিজুর রহমান জানান, ‘একই ব্যাংকে চাকুরির সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে লিমা আমাকে তার পারিবারিক একটি ফ্ল্যাট কেনার প্রস্তাব দিলে আমি রাজি হই। পরে ৫৫ লাখ টাকার একটি চুক্তিও হয়। চুক্তি হওয়ার পরে আমি তাকে বিভিন্নভাবে প্রায় ৩২ লাখ টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু টাকা পরিশোধ করার পর্যায়ে তার আচার আচরণ সন্দেহের সৃষ্টি করে। এমন সময় আমি তাকে ফ্ল্যাট বুঝে দেয়ার কথা বললে সে নানা ধরনের হুমকি দেয়। এমনকি আমার বিরুদ্ধে মামলাও করে। মামলায় জামিনে বেরিয়ে আসার পর তাকে আবারো ফ্ল্যাটের কথা বললে সে তার লোকজন দিয়ে ঢাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয় অন্যথায় হত্যা করা হবে বলে জানায়। পরে উপায়হীন হয়ে আমি আদালতের আশ্রয় নিই। আদালতের ওই মামলায় তাকে আটক করে পুলিশ।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd