ছাতকে ১৪ এপ্রিল রাতে ঘটে যাওয়া অনাকাংখিত সংঘর্ষের ঘটনা আপোষে নিস্পত্তির লক্ষে ৭ সদস্য বিশিষ্ট সালিশ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলকে আহবায়ক করে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষানুরাগি ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এ সালিশ বোর্ড গঠন করা হয়।
সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্যে ছাতকের বিশিষ্ট মুরব্বীগন উদ্যোগ নিলে বিবদমান উভয় পক্ষই সালিশে সম্মত হন। মুরব্বীদের মধ্যে ব্যবসায়ী হাজী আবুল হায়াত, চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি, শিক্ষানুরাগী হাজী হেলাল উদ্দিন, ছাতক সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমদ, বাগবাড়ি জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী হাজী মনির মিয়া, ব্যবসায়ী হাজী আফাজ উদ্দিন, ছাতক পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র রজনু আহমদ, সালিশ ব্যক্তিত্ব হাজী আচ্ছা মিয়া, মুক্তিযুদ্ধা হাজী নিজাম উদ্দিন বুলি, ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল জলিল, বিশিষ্ট মুরব্বী তেরা মিয়া চৌধুরী, ব্যবসায়ী হাজী বুরহান উদ্দিন, বাবুল মিয়া, আলহাজ্ব সামছুদ্দিন, হাজী খছরু মিয়া, ছালিক মিয়া চৌধুরী রুকন, হাজী সামছুল ইসলাম, রাজু মিয়া, রাজনীতিবিদ সৈয়দ তিতুমীর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল হক, আখলুছ মিয়া তালুকদার, হাজী নুর মিয়া তালুকদার, হাবিবুর রহমান সিরাজ, কামাল হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উভয় পক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে সালিশের ব্যপারে সমোঝতা করানো হয়। পরে সর্ব সম্মতিক্রমে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলকে আহবায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট সালিশ বোর্ড গঠন করা হয়। সালিশ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ব্যবসায়ী হাজী আবুল হায়াত, শিক্ষানুরাগী হাজী হেলাল উদ্দিন, ব্যবসায়ী হাজী আফাজ উদ্দিন, রাজনীতিবিদ সৈয়দ তিতুমীর, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল হক ও হাজী নুর মিয়া তালুকদার। সালিশ বোর্ডের সদস্যসরা শনিবার আহত পুলিশ ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামালকে দেখতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। আহত ওসির শয্যাপাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করে বিষয়টি তাকেও অবগত করেন।
Sharing is caring!