সিলেট ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০১৯
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর লাউড়েরগড় এলাকার দু দু বালুচরে অবৈধভাবে দুই শতাধিক ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে আবারো শুরু হয়েছে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের মহোৎসব।
শনিবার ভোর থেকে আবারো প্রকাশ্য দিবালোকে শুরু হয়েছে মানব নামের দানবচক্র অতি মোনাফালোভী দ্বারা বালু ও পাথর উত্তোলণ। কথায় আছে না চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী। গত প্রায় একমাস ধরে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশের পরও থামছে না পরিবেশ দূষনকারী ড্রেজার ও বোমা মেশিনের তান্ডব। এই তান্ডবে অতিষ্ট নদী তীরবর্তী গ্রামের মানুষজন একদিকে শব্দ দুষণ ও অন্যদিকে বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীনের শংঙ্কায় সব সময় আতংঙ্কিত রয়েছেন। এই দানবচক্রের এতই প্রবাব যে তাদের ভয়ে অনেকই মুখ খোলে কথা বলতে ও সাহস পাচ্ছেন না।
এই ধবংসলীলা দ্রæত বন্ধ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা সুনামগঞ্জের গণম্যামকর্মীরা তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সহকারী কমিশনার ভূমিকে বার বার মোবাইল ফোনে জানানোর পরও প্রশাসনের কোন কার্যকরী উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয় লাউড়ের গড় গ্রামের মৃত গোলাম কিইরয়ার ছেলে মোঃ শাহজানা মিয়া,মৃত আবুল কাশেমের ছেলে খাজা মইনুদ্দিন, মৃত জাহিদ মিয়ার ছেলে মোঃ শাহজাহান,পুরান লাউড়ের গড় গ্রামের পালই মিয়ার ছেলে আক্কাছ মিয়া,লোহাজুড়ি ছড়ারপাড় গ্রামের মৃত রহম আলণীর ছেলে মোস্তফা মেম্বার, ভাই হেলাল উদ্দি,রমিজ আলী গংদের নেতৃত্বে চলছে পরিবেশ দূষনকারী বিধবংসী ড্রেমার ও বোমা মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন।
কে এই দুৃষ্টচক্র ও অর্থ পিপাসু তারা কি সকল আইন কানুনের উধের্ব সরকার কিংবা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও সেই নির্দেশ মানছেন না স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। মাঝে মাঝে হঠাৎ করে উপজেলা প্রশাসনের লোক দেখনো মোবাইল কোর্টের অভিযান চালানো হলেও দুষ্টচক্রকে নিভৃত করা যাচ্ছে না। ঐ সমস্ত মানব নামের দানবদের পেছনে কোন অদৃশ্য শক্তি জব্বদল পাথরের মতো চেপে বসে থাকার কারণে তারা অল্পদিনে কোটিপতি বণে গেছেন। ওদের বেপরোয়া ধবংস লীলায় অপার সম্ভাবনা সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি রুপেন রানী যাদুকাটা এখন ধবংসের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে।
এছাড়া আরো কয়েকটি চক্র উপজেলারা ডালার পাড়, মোদেরগাও, বিন্নাকুলি গ্রামের পাশে নদীর পাড় কেটে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকার বালু ও পাথর। এ যেন দেখার কেহ নেই।
প্রশাসন অভিযান করবে এমন খবরটি ঘটনাস্থলে আসার আগেই পৌছে যায় মানব নামের দানবচক্রের কাছে। ফলে হঠাৎ প্রশাসনের তরফ থেকে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করতে আসলে ও মুনাফালোভীরা ততক্ষনে ছটকে পড়েন। প্রশাসনের কোন ধরনের কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে অভিযান সমাপ্ত করে চলে যাওয়ার সাথে সাথেই আবারো ও শুরু হয়ে যায় বোমা মেশিনের তান্ডব। ঐ চক্রটি কৌশল বদল করে দিনের পরিবর্তে রাতে চালু করলেও আবারো বিরামহীনভাবে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রশাসনের নাকের ডগায় দুই শতাধিক ড্রেজার , সেভ মেশিন ও বোমা মেশিন লাগিয়ে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকার বালু ও পাথর।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান এভাবে হঠাৎ তরে করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে স্থায়ীভাবে বন্ধ হবে না পরিবেশ ধবংসকারী বোমা ও ড্রেজার মেশিনের উৎপাত। তাই অপার সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি রুপের রানী যাদুকাটাকে বাচাঁতে সরকারের দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি প্রশাসনের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।
এ ব্যাপারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী মোঃ শাহজাহন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ ইমতিয়াজ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আজ সরকারী ছুটির দিন তাই ঘটনাস্থলে যাওয়া যাবে না তবে আগামী সপ্তাহ থেকে অভিযান আবারো শুরু হবে। এই এক সপ্তাহ অভিযান চালানো না হলে চক্রটিটি তো লাউড়েরগড় এলাকা ধবংস করে নিয়ে যাবে কয়েক কোটি টাকার বালু ও পাথর গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেন নি।
নাইম তালুকদার/ক্রাইম সিলেট/ এস এইচ
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd