ডা. প্রিয়াংকার আত্মহত্যা: স্বামীসহ তিন আসামী রিমান্ডে

প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০১৯

ডা. প্রিয়াংকার আত্মহত্যা: স্বামীসহ তিন আসামী রিমান্ডে

সিলেট পার্কভিউ মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. প্রিয়াংকা তালুকদার শান্তা (২৯) আর নেই। রোববার সকালে নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় পল্লবী সি ব্লকের ২৫ নাম্বার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তবে, ঘটনাকে স্বামীর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে জানালেও মেয়ের বাবার বাড়ির লোকজন এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডা. প্রিয়াংকার বাবা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং( ১৫. ১২ /০৫ / ২০১৯)।

এ ঘটনায় বোরবার জালালাবাদ থানা পুলিশ প্রিয়াংকার স্বামী স্থপতি দিবাকর দেব কল্লোল, শ্বশুর সুভাষ চন্দ্র দেব ও শাশুড়ি রত্না রানী দেবকে আটক করে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার এস আই আতিক আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত আসামীদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে নিজ বাসা নগরীর পাঠানটুলার পনিটুলা এলাকার পল্লবী সি ব্লকের ২৫ নাম্বার বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন নারী চিকিৎসক প্রিয়াংকা তালুকদার। তিনি পার্কভিউ মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ছিলেন।

এদিকে স্বামীর বাড়ির লোকজন ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে জানালেও প্রিয়াংকার বাবার বাড়ির লোকজন এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডা. প্রিয়াংকারে বাবা জালালাবাদ থানায় প্রিয়াংকার স্বামী-শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ অবস্থায় জালালাবাদ থানা পুলিশ তিন আসামিকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার (১২ মে) বিকেলে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।

এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জালালাবাদ থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা এসে ডা. প্রিয়াংকাকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডা. প্রিয়াংকা সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাধরপুর গ্রামের হৃষিকেশ তালুকদারের মেয়ে। নিহতের বাবা হৃষিকেশ তালুকদার জানান, প্রিয়াংকা নগরীর পাঠানটুলার পনিটুলা এলাকার পল্লবী সি ব্লকের ২৫ নাম্বার বাসায় স্বামী ও তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তার স্বামীর নাম কল্লোল দেব। শনিবার (১১মে) রাতে সে ড্রয়িং রুমের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কারণে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন হৃষিকেশ তালুকদার।

এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, আগেই ডা. প্রিয়াংকার স্বামী-শাশুড়ি-ননদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ ডা. প্রিয়াংকার বাবার দায়ের করা হত্যা মামলায় তাদের আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

ডা. প্রিয়াংকার মৃত্যুকে রহস্যজনক মনে হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। মামলাও হয়েছে। এখন ময়নাতদন্তের পর ঘটনার আসল রহস্য বলা যাবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..