সিলেট ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৯
কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স তানিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর তার মাথায় আঘাত করে ধর্ষকরা। এতে তার মাথার খুলি ফেটে যায়। তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন রবিবার (১২ মে) পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান ময়নাতদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই চাঞ্চল্যকর মামলার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে জমা দিয়েছি। তানিয়ার শরীরে দশটি স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে ধর্ষণ এবং হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তানিয়ার মাথার খুলি দুইভাগ হয়ে গেছে এবং মাথার পেছনের দিকে দুটি হাড় ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
ধর্ষণে কতজন জড়িত ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তানিয়ার শরীর থেকে প্রাপ্ত মেটিরিয়াস ঢাকা মহাখালীতে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি। ওই প্রতিবেদন আসার পর জানা যাবে কতজন ধর্ষণে জড়িত ছিল।’
প্রসঙ্গত, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুর রুটে চলাচলকারী স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে গত ৬ মে তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। বাজিতপুর উপজেলার গজারিয়ায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন ঢাকা থেকে কটিয়াদী ও বাজিতপুরের পিরিজপুর হয়ে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন তানিয়া। তিনি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মো. গিয়াসউদ্দিনের মেয়ে। তানিয়া ঢাকার কল্যাণপুরে ইবনে সিনা হাসপাতালে সেবিকা পদে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় বাসের চালক নূরুজ্জামান নুরু (৩৯) ও সহকারী লালন মিয়াসহ (৩২) মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ক্রাইম সিলেট/এইচ/এস
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd