সুত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় উপজেলার সর্বত্র গত কয়েক মাস ধরে এমন লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন লক্ষ-লক্ষ সাধারণ মানুষ। প্রচন্ড গরম ও শুরু হওয়া রমযান মাসের মধ্যে বিদ্যুৎের ঘন ঘন লোডশেডিং চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে তাদের।
অভিযোগ রয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অব্যবস্থাপনা এবং স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎের প্রতি তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পল্লী বিদ্যুৎের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে তীব্র আন্দোলনে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, আগামী ২ দিনের মধ্যে লোডশেডিং এর সমাধান না হলে সর্বস্তরের জনতার অংশগ্রহণে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুন করেছেন। কাজেই লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না নিলে কোম্পানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎের এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।
কোম্পানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎের পরিচালক মোর্শেদ আলম জানান, ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে তিনি বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য ডিজিএমকে অবহিত করেন। রমযান মাসে অন্তত যাতে শতভাগ বিদ্যুৎ থাকে সেজন্য তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন।
কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান,ঝড় বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমরা খবর পাওয়া মাত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে এমন অভিযোগ করা হলে তিনি বলেন, লোডশেডিং বলতে কোম্পানীগঞ্জে নেই, যা হচ্ছে ঝড় বৃষ্টির কারণেই হচ্ছে।