বিশ্বনাথে এক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০১৯

বিশ্বনাথে এক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে এবার দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা মাহবুবা খানমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষিকার অশুভন আচরণে ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকার লোকজন অই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এম. সমছু মিয়া, হাফিজুর রহমান, মশরফ আলী, খোয়াজ আলী, মো. রুশন আলী, মো. ছালিক মিয়া, জামাল উদ্দিন, জাহেদুল ইসলাম, মুক্তার মিয়া সাক্ষরিত অভিযোগে অভিযোগে প্রকাশ: ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দু’জন নাতনী সহকারি শিক্ষক মাহবুবা খানম ও তাঁর ছোট বোন মাছুমা খানম। আরেকজন হলেন সভাপতির মেয়ে জেসমিন নাহার। বর্তমান প্রধান শিক্ষকের যোগদানের পূর্বে কখনও ৩দিন কোন সময় ৪দিন অনুপস্থিত থেকে একদিন বিদ্যালয়ে এসে বিগত কর্ম দিবসের হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে থাকেন।
সাবেক প্রধান শিক্ষক সহকারি শিক্ষিকার অনুপস্থিতি লিখতে চাইলে সভাপতির ভয় দেখিয়ে তাকে নানা কটুক্তির মাধ্যমে অপমান করেন এবং অনুপস্থিতি লেখতে দেননি। এছাড়া সকাল ১১টা সাড়ে ১১টায় উপস্থিত হওয়া, ছুটির পূর্বে চলে যাওয়া, বিদ্যালয়ে না আসা, পাঠদান না করা নিয়ে কথা বলে শালীনতাহীন আচরণে বরাবরই প্রধান শিক্ষক নাজেহাল হয়েছেন।
তাঁর অমানবিক আচরণে অতিষ্ট হয়ে বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষক এলাকাবাসীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমন আচরণে কোন প্রধান শিক্ষকই ২/১ বছরের বেশী দিন টিকে থাকতে পারেননি। বর্তমান প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত কর্মঠ এবংসময়াবর্তী। উক্ত শিক্ষিকা বর্তমানে ও বিভিন্ন সময়ে অবৈধ্য ছুটি চেয়েছেন। অবৈধ্য ছুটি না পেয়ে পূর্বেও ন্যায় খারাপ আচরণে লিপ্ত রয়েছেন।
গত ৩-২-২০১৮ইং তারিখে মোছা. মাহবুবা খানম ১১টা ১৫ মিনিটে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। অই দিন ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য হাফিজুর রহমান বিলম্বে উপস্থিত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি তাঁর সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন। জানাযায়, এসময় প্রধান শিক্ষক প্রশিক্ষণে ছিলেন। ১০-৫-১৫ইং তারিখে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বিদ্যালয়ে পরিদর্শনকালে উক্ত শিক্ষিকাকে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত চিহ্নিত করেন। এই সহকারি শিক্ষিকার অশুভন আচরণে ক্ষোব্ধ হয়ে শিক্ষার্থী অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের কেজি স্কুলে ভর্তির দিকে ঝুকে পড়ছেন। দ্রুত শিক্ষিকা বদলী না করলে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠ, সুন্দর, নিরাপদ ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নের পরিবেশ সৃষ্ঠি করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের সু-দৃষ্ঠি কামনা করেছেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..