হবিগঞ্জে দিনে দুপুরে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০১৯

হবিগঞ্জে দিনে দুপুরে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ চৌধুরী বাজার এলাকায় অবস্থিত ট্রাফিক পয়েন্ট এ চলছে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি। দিনের চেয়ে রাতে হবিগঞ্জ এর চৌধুরী বাজার এলাকায় ট্রাফিক পুলিশরা বিভিন্ন জায়গা থেকে আস ট্রাক ড্রাইভারদের থেকে টাকা খেয়ে ছেড়ে দিচ্ছে অবৈধ অনেক ট্রাক, যার কোন দিনের বেলায় শহরে চলাচল এর কোনো অনুমতি নেই বললেই চলে।

আরো জানা যায় ট্রাফিক পুলিশের অবৈধ টাকার কারখানা পুলিশকে মাসোরা দিয়ে চলছে, ফিটনেসবিহীন যানবাহন। চৌধুরী বাজার ট্রাফিক যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেক করার নামে চাঁদা আদায় করে। উমেদনগরের বিভিন্ন রাস্তায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সি,এনজি অটোরিকশা চলছে এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন নানা ব্রান্ডের গাড়ি কারণে- অকারনে থামিয়ে কাগজপত্র চেক করা হয়, সাধারণ মানুষের হয়রানি আর টাকা আদায় তাদের মূল টার্গেট বলে ভুক্তভোগীরা জানান।

রাস্তায় লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা ফিটনেসবিহীন ট্রাক চলাচল করলেও তাদের সেদিকে নজর নেই। ট্রাক ড্রাইভার মনির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, শুধু দিনে নয় রাতেও চলে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি। উমেদনগর কালারডোবা অবস্থিত একটি পুলিশ লাইনেও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করছে। এতেও চলছে ট্রাফিক পুলিশের বাণিজ্য। বি আরটিএর অভিযান টিম যে রাস্তায় থাকে ট্রাফিক পুলিশ তা আগেই ড্রাইভারদের জানিয়ে দেয়। এতে করে ফিটনেসবিহীন গাড়ী ওই রাস্তা এড়িয়ে অন্য রাস্তায় চলে যায়।

পুলিশ ফিটনেসবিহীন বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান শুরু করেনি। এ জন্য অনেকেই পুলিশের চাঁদাবাজিকেই দায়ী করছেন। কারণ হিসাবে তারা বলছেন, এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ হলে পুলিশের অবৈধ বাণিজ্য কমে যাবে। হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারসহ ৪-৫টি স্থানে ট্রাফিক পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়। কারণে-অকারণে গাড়ি থামিয়ে মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়। টাকা দিলে সব ঝামেলা যায় বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..