পুলিশ ও স্থানীয়রা, গত ৯ মার্চ (শনিবার) নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের ১০৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি জানান স্থানীয়রা। পরে দাগনভূঞা পৌরসভার গণিপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী ও নবজাতক সন্তানকে উদ্ধার করে। বিগত দুই-তিন ধরে মাস মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে দাগনভূঞা বাজার এলাকায় ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে।
খবর পেয়ে সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তাহের মা ও নবজাতককে দেখতে যান এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মা ও ছেলের সর্বাত্মক চিকিৎসা সেবা দেয়ার নিদের্শ দেন। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী ও তার নবজাতক সদর হাসপাতালের ৪০২ নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সহায়’।
সহায়’র সমন্বয়ক মনজিলা আক্তার মিমি বলেন, নবজাতক ও মাকে উদ্ধারের পর থেকে আমরা তাদের সেবা-যত্ন করে আসছি। হাসপাতালের সমাজসেবা থেকে শিশুর দুধ ও ওষুধ সরবরাহ করছে। বাকিটা ‘সহায়’ ব্যবস্থা করছে।
এ বিষয়ে ফেনীর সিভিল সার্জন হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, নবজাতক ও মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।