ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মোবাইলে ধারণ করা শালিস বৈঠকের ভিডিও পোষ্ট করাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১৫জনকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের খাসগাঁও বাজার এলাকায় কালীপুর ও খাসগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইউনিয়নের নির্বাচিত দু’ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে এ সংঘর্ষ ঘটেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় খাসগাঁও বাজারে কালীপুর গ্রামের নূর উদ্দিনের পুত্র ইউপি সদস্য আজিজুল হক শান্ত ও খাসগাঁও গ্রামের মাফিজ আলীর পুত্র ইউপি সদস্য করম আলীর উপস্থিতিতে ভিন্ন একটি ঘটনা নিয়ে সালিশ-বৈঠক চলছিল। সালিশ-বৈঠক চলাকালে সালিশ-বৈঠকের ধারনকৃত একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কে বা কারা পোষ্ট করে দেয়। সালিশ-বৈঠক শেষে ভিডিও চিত্র ফেইস বুকে পোষ্ট করার বিষয়ে ইউপি সদস্য আজিজুল হক শান্তর আত্মীয় রুহুল আমিনকে দায়ী করে ইউপি সদস্য করম আলী পক্ষের লোকজন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক-বিতন্ডা ও হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দু’ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে কালীপুর ও খাসগাঁও গ্রামবাসী তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে লাঠি-সোটা, দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল ব্যবহার করা হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত হয় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। গুরুতর আহত জুয়েল মিয়া (২০), ছালেক উদ্দিন (৬০), সাবুল মিয়া (৪০), কলমধর আলী (৫৮), ময়না মিয়া (৫০), আব্দুল হালিম (৬৫), শ্যামল চন্দ (২৫), আমিনুল ইসলাম (৩০), ফেদৌস (২৮), আদম আলী (২৫), পারভেজ (১৫), নুর উদ্দিন (৫০), সাইদ মিয়া (৬৫), মহর আলী (২৬), ফজর আলী (৫৫) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল হক ও একই গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল মতিন পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দু’ঘন্টা ব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৪০ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত ১জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।