সিলেট ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: কানাইঘাট পৌরসভার শিবনগর গ্রামে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকাবস্থায় হাতে নাতে তালাক প্রাপ্ত ২ সন্তানের জননী সহ তার পরকিয়া প্রেমিক কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার পর থানায় প্রেমিক জুটির বিয়ে দেওয়ায় হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় গত রবিবার মধ্য রাতে শিবনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী শফিকুল হকের তালাক প্রাপ্ত মেয়ে ২ সন্তানের জননী ফাহিমা বেগম (২৪) পৌরসভার দূর্লভপুর গ্রামের মৃত রহমত আলীর পুত্র অটোরিক্সা (সিএনজি) চালক রেজওয়ান (২৩) সাথে নিজ বাড়ীতে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকাবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করেন।
পরে রাতে তাদের কে গতকাল সোমবার ভোর বেলায় কানাইঘাট থানায় সোপর্দ করেন গ্রামবাসী এরপর সোমবার দুপুরে থানায় উভয়ের আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে ফাহিমা ও রেজওয়ানের ২ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে শরীয়াহ মোতাবেক বিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফখর উদ্দিন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আছিয়া বেগম। বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন চন্দ্র সরকার জানান অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য ফাহিমা ও রেজওয়ান কে গ্রামের লোকজন থানায় সোর্পদ করার পর উভয় পরিবারের লোকজনদের সম্মতিক্রমে ক্বাজী ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন থেকে শফিকুল হকের মেয়ে ফাহিমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল রেজওয়ানের। রেজওয়ান সব সময় ফাহিমার বাড়ীতে এসে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হত। প্রতিবেশিরা বাধা দেওয়ার পরও সে নিষেধ মানেনি। জানা গেছে ফাহিমা বেগম কে পূর্বে বিয়ে করে ছিলেন সেলিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। অনেকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকায় সেলিম ফাহিমা বেগম কে দেড় বছর পূর্বে তালাক দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd