সিলেট ৯ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ | ১১ই রবিউস-সানি, ১৪৪১ হিজরী
প্রকাশিত: 9:13 PM, February 20, 2019
Sharing is caring!
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর মো. শামীম (২৭) হত্যার ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোছা. আশা আক্তারকে (২৩) বগুড়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গ্রেফতারকৃত আশা আক্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনে সিএমপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘আসামি আশা আক্তার বগুড়া সদরের ঠনঠনিয়া নতুনপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের মেয়ে। এর আগে তার আরও একবার বিয়ে হয়েছিল। সে ঘরে তার চার বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। পরে ওই বিয়ে ভেঙে যায়। প্রায় একবছর আগে নিহত শামীমের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় আশা আক্তারের। সে সময় শামীম নিজেকে অবিবাহিত বলে জানান। সেই সম্পর্কের জের ধরেই পরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর আসামি আশা আক্তার শামীমের প্রথম পক্ষের কথা জেনে যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় শামীম আশার কাছ থেকে টাকা নিতেন। এসব বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আশা গত শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বামী শামীমকে হত্যা করে’।
চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান বলেন, ‘নিহত শামীম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রেই বগুড়া গিয়ে আশা আক্তারকে বিয়ে করেন। তিনি বিভিন্ন সময় বগুড়া গিয়ে আশার বাসায় থাকতেন। কিন্তু আশাকে কখনও চট্টগ্রামে আনেননি। নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে বিয়ে করলেও চট্টগ্রামে শামীমের আরও একটি সংসার ছিল। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে আশা সে বিষয়টি জানতে পারেন। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় ঝগড়াঝাটি হতো। এছাড়াও শামীম বিভিন্ন সময় আশার কাছ থেকে টাকা নিতেন। এমনকি স্থানীয় একটি সমিতি থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে শামীমকে একটি ইজিবাইকও কিনে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া পরে আরও ৩০ হাজার টাকা দেন শামীমকে। কিন্তু শামীমের প্রথম পক্ষের বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি আশা’।
জানা গেছে, স্বামীর প্রথম বিয়ে ও আরও নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা জেনে এবার শামীম বগুড়া গেলে তার সঙ্গে চট্টগ্রামে আসেন আশা আক্তার। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম পৌঁছে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পাহাড়তলী থানার আবদুল আলি নগরের ইউসুফ মিয়ার কলোনিতে বাসা ভাড়া নেন। বগুড়া থেকে নিয়ে আসা ছুরি দিয়ে দুপুরেই শামীমকে জবাই করে হত্যা করেন আশা। পরে তিনি বগুড়া পালিয়ে যান। নিহত শামীম চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর থানার নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
………………………..
Design and developed by best-bd