সিলেট ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন খাসদবীর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রসহ ৬ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি আমেরিকান তৈরী রিভলবার, ১৬টি চাকু ও ২টি চাপাতি ও ২টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
সোমবার রাত একটার দিকে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এর নেতৃত্বে খাসদবীরস্থ বন্ধন আবাসিক এলাকার জনৈক আব্দুল মালিকের মালিকানাধীন বাসায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জালালাবাদ আবাসিক এলাকার ফরহাদ রাজা চৌধুরী ছেলে নাবিল রাজা চৌধুরী(৩০), পূর্বাশা এলাকার আক্তার বক্সের ছেলে জামিল বক্স (২৮), খাসদবীর এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ইসতিয়াক রহমান রাজু (২৭), রায়নগর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফাহিম আহমদ (২৮), কলাপ্ড়া এলাকার মৃত মুক্তার আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩১), কাজীটুলা এলাকার মৃত আলা বক্সেও ছেলে খায়রুল আহমদ (২৫)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মো. জেদান আল মুসা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিগণ দীর্ঘদিন যাবৎ সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র অবস্থায় খুনসহ ছিনতাই, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা আদায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আক্রমণ, অগ্নি সংযোগ, নারী নির্যাতন এবং জোরপূর্বক অন্যায়ভাবে জায়গা দখল করার মত মারাতœক ধরণের অপরাধ করে আসছিল।
পুলিশ আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাবিল রাজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সিলেট শহরে বিভিন্ন থানায় ৩৩টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ১টি খুন, ৫টি ছিনতাইসহ চাঁদাবাজী, ৪টি বিস্ফোরক দ্রব্য, ৩টি বিশেষ ক্ষমতা আইনে, ৩টি পুলিশ আক্রান্ত, ১টি অগ্নি সংযোগ, ১টি নারী শিশু নির্যাতন ও অন্যান্য খাতে ১৫টি মামলা রয়েছে।
আরেক আসামি জামিল বক্স এর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে ২টি দ্রুত বিচার, ১টি বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও ১টি অন্যান্য খাতের মামলা। আসামি ইসতিয়াক রহমান রাজু এর বিরুদ্ধে ২টি গুরতর জখম সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। অন্যান্য আসামি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতে ০১টি করিয়া মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মো. জেদান আল মুসা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে গুরুত¦পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় এবং তাদের সাথে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৮ সনের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় মামলা রুজু করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd