সুনামগঞ্জের লাউড়গড়ে সোর্সদের চাঁদাবাজি,দেখার কেউ নেই

প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯

সুনামগঞ্জের লাউড়গড়ে সোর্সদের চাঁদাবাজি,দেখার কেউ নেই

নিজেস্ব প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের লাউড়গড়ে ১১জন আসামীকে সোর্স নিয়োগ করে ভারত সীমান্তের অবৈধ পাথর কোয়ারী থেকে অবৈধ লড়ি গাড়ি বোঝাই করে হাজারহাজার মে.টন পাথরের সাথে মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা,নাসিরউদ্দিন বিড়িসহ অস্ত্র,কয়লা,গরু ও ঘোড়া পাচাঁর করে বিজিবি,র‌্যাব, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে করছে লক্ষলক্ষ টাকা চাঁদাবাজি। আজ ০৩.০২.১৯ইং রবিবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ও গতকাল শনিবার সারাদিন জাদুকাটা নদী দিয়ে ৭টি অবৈধ লড়ি গাড়ি দিয়ে প্রায় ৪হাজার মে.টন পাথরে সাথে বিপুল পরিমান মদ,গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করা হয়েছে বলে জানাগেছে। এলাকাবাসী ও সোর্স সূত্র জানায়,লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ১লড়ি পাথর(১৬০ফুট) পাচাঁরের জন্য ২০০টাকা,১টি গরু থেকে ৫হাজার টাকা,১টি ঘোড়া থেকে ৭হাজার টাকাসহ ইয়াবা,মদ, গাঁজা ও বিড়ি পাচাঁরের জন্য সপ্তাহিক ২০থেকে ৫০হাজার টাকা চাঁদা লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের নামে উত্তোলন করছে সোর্স এরশাদ মিয়া,দিলহাজ মিয়া,জজ মিয়া ও নবীকুলকে দিয়ে ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার হাবিব। এনিয়ে গতকাল শনিবার রাত ৮টায় বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন লাউড়গড় বাজারে সোর্স জজ মিয়ার অফিসে মিটিং করে চাঁদার টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করা হয় এবং সোর্সদের মধ্যে এরশাদ মিয়া ও দিলহাজ মিয়াকে দিয়ে স্থায়ী ভাবে চাঁদা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয়াসহ চোরাচালান ও চাঁদাবাজি নিয়ে মামলা যেন না হয় তার দায়িত্ব নেয় ক্যাম্প কমান্ডার হাবিব ও সোর্সদের প্রধান নেতা। এই সোর্স সিন্ডিকেডের সদস্যরা হলেন-কয়লা,মাদক ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী জেলার তাহিরপুর উপজেলার মাহাতাবপুর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে রফিক মিয়া (নবীকুল),সাহিদাবাদ গ্রামের শামসুলের ছেলে সেলিম মিয়া,আলী আকবরের ছেলে শহিদ মিয়া,পুরান লাউড় গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে আক্তার মিয়া,একই গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে এরশাদ মিয়া,অলি ছোবাহানের ছেলে দিলহাজ মিয়া,বারেকটিলা গ্রামের রফিকুল মিয়া, লাউড়গড় গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে জজ মিয়া,আব্দুল গফুরের ছেলে আনসারুল মিয়া,আব্দুস সাত্তারের ছেলে আমিনুল মিয়া ও মাফিনুর,আব্দুল জলিলের ছেলে জসিম উদ্দিন ও কালা মিয়ার ছেলে নুরু মিয়াসহ তার এলাকার মামা সোর্সদের নেতা জনৈক প্রধান সোর্স। তাদের উত্তোলনকৃত চাঁদার মধ্যে শতকরা ৭০টাকা বিজিবি ক্যাম্পের ম্যাচ খরছ বাবদ নিচ্ছে সুবেদার হাবিব। আর শতকরা ৩০টাকা র‌্যাব,ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ভাগভাটোয়ারা করে নিচ্ছে জনৈক নেতাসহ সোর্স বাহিনী। এব্যাপারে লাউড়গড় ও বাগলীর ব্যবসায়ী-নাসির মিয়া,আবু শামা,আব্বাস আলী,রহিম উদ্দিন,রাসেল আহমেদ,দিলশাদ হোসেনসহ অনেকেই বলেন-সুবেদার হাবিব বীরেন্দ্রনগর ক্যাম্পে কর্মরত থাকাকালীন সময চোরাচালানী মস্তোফা মিয়া মস্তো ও আলী হোসেনকে ক্যাম্পের সোর্স আর হযরত আলী ও মঞ্জুল মিয়াকে সি.ও’র সোর্স নিয়োগ করে ১বস্তা(৫০কেজি) কয়লা পাচাঁরের জন্য ৫০টাকা ও ১নৌকা চুনাপাথর (৬শ ফুট)থেকে ৬০০টাকা চাঁদা নিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন ৫থেকে ১০হাজার বস্তা কয়লাসহ শতশত মে.টন চুনাপাথর পাচাঁর করত। আর এসব বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে ২০বস্তা কয়লা ও আংশিক চুনাপাথর জব্দ করত। সুবেদার হাবিবের এই নাটকীয় দূর্নীতি নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এরপর লাউড়গড় এসে কিছুদিন সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে এবং বিভিন্ন মামলার ১১জন আসামীকে সোর্স নিয়োগ করে আবার নাটকীয় ভাবে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্যে মেতে উঠে। এব্যাপারে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার হাবিব বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আমার সোর্সদের সাথে কথা বলেন,আমি কোনকিছু বলতে পারবনা। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলম বলেন,সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কোন সোর্স নাই, বিজিবির নাম ভাংগিয়ে কেউ চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2019
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
232425262728  

সর্বশেষ খবর

………………………..