দক্ষিণ সুরমায় হামলায় তিন সহোদর আহত : গ্রেফতার হয়নি আসামীরা

প্রকাশিত: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯

দক্ষিণ সুরমায় হামলায় তিন সহোদর আহত : গ্রেফতার হয়নি আসামীরা

স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁওয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ সহোদর আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনার তিন মাস পেরিয়ে গেলও আসামীরা বহাল তবিয়ৎতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উল্টো আসামীরা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  গত বছর ২০১৮ ইং সালের ২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল ৪ টায় মোল্লারগাঁও নয়াপাড়া গ্রামের হাজি বশির মিয়ার বসত ঘরে এ হামলার ঘটনায় আহত হন একই পরিবারের তিন ভাই।

আহতরা হচ্ছে- নগরীর ভার্থখলা এ ব্লকের ৪০ নম্বর বাসার মৃত আব্দুল খালেদের পুত্র আনোয়ার হোসেন (৩৫) তার ছোট ভাই আক্তার হোসেন (৩২) ও আব্দুল মুকিত আবির (২৮)।  এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন আহত আব্দুল মুহিত আক্তার। মামলা নং-(৩),তারিখ ৪.১১.২০১৮ইং। মামলার আসামীরা হলেন, মৃত জহুর মিয়ার ছেলে বশির মিয়া, তার ছেলে হাবিবুর রহমান, সজিবুর রহমান, বশির মিয়ার স্ত্রী সামছুন্নাহারসহ অজ্ঞাতনামারা।  থানায় মামলা দায়েরের তিন মাস অতিবাহিত হতে চললেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছেনা বলে অভিযোগ করেন আহতরা।

অপরদিকে আহতরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে জানা যায়।  এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, হামলার ঘটনায় আহতদের মেডিকেলের রিপোর্টের ভিক্তিতে চার্জশিট তৈরি হচ্ছে। আসামীরা পলাতক থাকায় পুলিশ কয়েকবার এলাকায় অভিযান চালিয়েও তাদেরকে ধরতে পারেনি বলে জানান তিনি।  উল্লেখ্য হামলায় আহতরা আরো জানান, দক্ষিণ সুরমা থানার নয়াপাড়া গ্রামের হাজি বশির মিয়া আহত আনোয়ার হোসেন গংদের মামা হন।  জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আনোয়ার হোসেন গংদের সাথে তার মামা হাজি বশির মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন হাজি বশির মিয়া ভাগনা আনোয়ার হোসেন গংদের কাগজ-পত্র নিয়ে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন সরল বিশ্বাসে মামার ডাকে তিন ভাগনা জায়গা জমির কাগজ-পত্র নিয়ে বশির মিয়ার বাড়ি নয়াপাড়ায় যান।  তখন বশির মিয়াসহ তার ছেলেরা তাদের ঘরে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ সময় আনোয়ার হোসেন তার ভাই আক্তার হোসেন ও আব্দুল মুকিত আবির আহত হন। এর মধ্যে হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত আবিরের বাম হাতের কজ্বি বিচ্ছিন্ন করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৫ ও ৭ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..