সিলেট ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০১৯
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের গোলপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দে আওয়মীলীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় আগুন ধরিয়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরীক দল জেএসডি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে দোকান কর্মচারী সাইদুল নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল ৭ জানুয়ারি নিহত সাইদুলের পিতা নজির আহমদ বাদী হয়ে জেএসডির ৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। আসামীরা সবাই গোলাপগঞ্জ থানার বাসিন্দা। তারা হলেন- করগাঁও গ্রামের মাওলানা আকদ্দছ আলীর পুত্র ইউনিয়ন জেএসডির সভাপতি মিজানুর রহমান, গিয়াস উদ্দিনের পুত্র জেএসডি ফুলসাইন্দ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুহেল আহমদ, মাহমদ আলীর পুত্র জেএসডি ফুলসাইন্দ শাখার প্রচার সম্পাদক মো: জয়নুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত সোনা উল্লাহর পুত্র জেএসডি কর্মী নাসিম, আব্দুল হাফিজ খাঁনের পুত্র জেএসডি কর্মী বাবুল এবং মরম আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর।
গতকাল ভোরে আহত সাইদুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ। বাদ জোহর ফুলসাইন্দ গোরস্থানে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পিতা নজির আহমদ। তিনি জানান, তার ছেলে সাইদুল ফুলসাইন্দ বাজারে দোকান কর্মচারীর কাজ করতো। ২৯ ডিসেম্বর রাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর সংঘাত চলাকালে সাইদুলকে কয়েকজন মিলে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। প্রায় ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে। ছেলে হত্যাকারী সব আসামীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবী জানান তিনি।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন করে জানান, এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর রাতে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রতিক নৌকা আগুন দিয়ে পুড়ানোর জের ধরে ফুলসাইন্দ বাজারে জেএসডি নেতাকর্মীদের সাথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত হন মামলার ৩ আসামীসহ দোকান কর্মচারী সাইদুল। ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গতকাল ভোরে সাইদুল মৃত্যুবরণ করেন। আহত আসামী মোঃ জয়নুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২দিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। বাকী দুই জন নাসিম ও বাবুল সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা জেএসডি সভাপতি জানান, হামলা করেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। আহত হয়েছে জেএসডি নেতাকর্মী অথচ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে মামলায় জেএসডি নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে। জেএসডি নেতা মোঃ জয়নুল ইসলাম এখনও জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে গতকাল ফুলসাইন্দ গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, নির্বাচনী সহিংসতায় সাইদুল নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আতংকে স্থানীয় বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এলাকার নিরাপত্তায় বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd