সিলেট ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সারাদেশের মত এবারের জেএসসি ও জেডিসিতে জৈন্তাপুর উপজেলার ২১টি প্রতিষ্ঠান হতে ২৩৩৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে উত্তীর্ণ হয়েছে ২০৮৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২জন পরীক্ষার্থী। উপজেলার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নি¤œ মাধ্যমিক শাখা হতে ১টি জিপিএ-৫ সহ শতভাগ ফলাফল অর্জন করে। উপজেলায় পাশের হার ৮৮.৭১% যা গত ২০১৭ সনের তুলনায় ৮% কম।
অপরদিকে পিএসসি’তে উপজেলার ১১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ৩০০৫ জন পরিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৯৬৯ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭০জন পরীক্ষার্থী। উপজেলায় ৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ ফলাফল অর্জন করে। তবে প্রাথমিকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। উপজেলায় পাশের হার ৯৮.৮০%।
ফলাফল বিশ্লেষনে উপজেলার সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বিগত বৎসর গুলোর তুলনায় এবার প্রাথমিকে পাশের হার কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কমেছে জেএসসি ও জেডিসিতে পাশের হার বিগত ২০১৭ সনের চেয়ে ৮% কম। ২০১৫ সালে পিএসপি সমমান পরীক্ষায় জৈন্তাপুর উপজেলায় ১৫৫টি জিপিএ-৫ পেয়েছিল শিশু শিক্ষার্থীরা। মাধ্যমিক স্থরে এসে ৩বৎসরে জিপিএ-৫ এর হার ১৫৫ থেকে হ্রাসপেয়ে ১২ এসে দাঁড়িয়েছে। স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক পরিচালনা কমিটি ও সাংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস সমুহ শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধির দাবী করলেও অভিভাবকরা পরীক্ষার ফলাফল যাচাই করে তা মানতে রাজি নন। অভিভাবকরা জানান- ৩বৎসর পূর্বে যেখানে পিএসসিতে ১৫৫ টি জিপিএ-৫ ছিল, ৩বৎসর পর তা বৃদ্ধি না হয়ে ১২টিতে এসে দাঁড়ীয়েছে আগামী ২বৎসর পর জিপিএ-৫ শূন্যের (০) কোঠায় দাঁড়াবে বলে আশংঙ্কা প্রকাশ করছেনে। তারা আরও জানান দুটি স্তরে ন্যাশনাল সার্ভিস এর মাধ্যমে সরকার শিক্ষক সল্পতা দূর করার লক্ষে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪ জনের অধিক সংখ্যাক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পরও শিক্ষা ব্যবস্থার এমন পরিস্থিতিতে আমরা চিন্তিত।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd