সহকারী শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিব্রতকর মন্তব্য বিভিন্ন মহলের তিব্র নিন্দা

প্রকাশিত: ৮:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮

সহকারী শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিব্রতকর মন্তব্য বিভিন্ন মহলের তিব্র নিন্দা

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: গোয়াইনঘাটের সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলমকে নিয়ে সামপ্রতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিব্রতকর মন্তব্য প্রকাশ করায় উপজেলার বিভিন্ন মহল আলাদা আলাদা নিন্দা জানিয়েছে। উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলমকে নিয়ে বিব্রতকর মন্তব্য প্রকাশ করছে সিলেট থেকে প্রকাশিত একটি নাম সর্বশ্ব অনলাইন নিউজ প্রোটাল। এক নিন্দা বার্তায় শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন মহল জানান, সিলেট থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ প্রোটাল ”রয়েল সিলেট” পত্রিকায় গত ১০ডিসেম্বর ২০১৮ইং শীর্ষ সংবাদ’এ প্রকাশিত ”গোয়াইনঘাটে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুলের বিরোদ্ধে নানা অভিযোগ” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

সংবাদে আমার উপর আনিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে আমি আশরাফুল আলম অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জনে ফন্দিফিকিরে ব্যস্থ রয়েছি। এমন কি চলতি বছরে সমাপনি পরিক্ষার্থীদের ২টি মডেল টেস্টের ফি ২৫টাকা ও ৩০টাকা হারে অর্জিত প্রায় ৪,২৯,৪৯৫( চার লক্ষ উনত্রিশ হাজার চারশত পচাঁনব্বই) টাকার বেশির ভাগ অংশ। প্রতিবন্ধী শিশুদের উপকরণ থেকে ৯৫০০০( পচাঁনব্বই হাজার) টাকা । ডেপুটেশন বদলী বাবৎ ১৫/২০হাজার টাকা। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক/সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে নানা উজুজহাতে টাকা আত্মসাৎ করেছি বলে অভিযোগ তুলা হয়েছে প্রকৃত অর্থে তা নিচক গুজব ও ভিত্তিহীন।

অনলাইন নিউজ প্রোটাল রয়েল সিলেট পত্রিকায় যাদের নাম ভাঙ্গিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সকলেই এ বিষয়ে স্ব-হস্থে লিখিত নিন্দা এবং তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন। প্রকৃত অর্থে সেবাশ্রী রানী দাশ শারিরিক ভাবে সুস্থ না থাকায় কর্মস্থলের বিদ্যালয়টি দূর্গম এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ৮কিলোমিটার পায়ে হেটেঁ যাতায়াত করা সম্ভব ছিলনা। তাই গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরীর সুপারিশের মাধ্যমে খাঁস সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ে ডেপুটেশন করা হয়েছে। এছাড়া নিহাইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগম রয়েল সিলেটে সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানিয়ে বলেন,আমাকে জড়িয়ে ¯িøপের টাকার গড়মিলের কারণে আমি আশরাফুল আমল স্যারকে ৫হাজার টাকা উৎকোঁচ প্রদান করেছি তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। রয়েলে সিলেট পত্রিকায় আমাদের সকলের নাম ভাঙ্গিয়ে যে বা যাহারা এমন ভুল,ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে আমরা সকলেই স্ব-হস্থে লিখিত প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ প্রকাশের পর ”রয়েল সিলেট” অফিসে গিয়ে নিন্দা জানানোর পর অদৃশ্য কারণে সেই প্রতিবাদটি প্রচার করেনি কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, একটি কু-চক্রি মহল তাদের নিজ স্বার্থে আমাকে ব্যাহার করতে না পারায় বিভিন্নভাবে আমার নামে এরকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে আমার বিরোদ্ধে মৌখিক অভিযোগও দিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে সততা ও নিষ্টারসহীত দীর্ঘ দিন থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু এখানে যোগদানের পর থেকে একটি কু-চক্রিমহল আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।

অনলাইন নিউজ প্রোটাল রয়েল সিলেট পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে আনিত মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রকাশিত পত্রিকার সম্পাদককে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক বস্তু নিষ্ট ও তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোশাহিদ আলীর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান,সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলমকে নিয়ে একটি অনলাইন নিউজ প্রোটালে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য ১৩ডিসেম্বের উপজেলা মিলনায়তনে আনুষ্টানিকভাবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিশ্বজিত কুমার পাল’কে প্রধান অতিথি করে। উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে ১০টি হুইল চেয়ার,৩৮টি চশমা,শ্রবণ যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..