সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: যে বয়সে খেলাধুলা আর দুষ্টুমিতে ছেলেদের সময় কাটে, সে বয়সে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত ৩০ পারা পবিত্র কোরআন নির্ভুলভাবে মুখস্থ করেছে কিশোর শাকিল আহমদ সালমান। তাও মাত্র তিন বৎসরে।
এত অল্প দিনে কোরআন শরিফ হেফজ করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শাকিল আহমদ সালমানের শিক্ষকরা। কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায়ও চমকপ্রদ ফলাফল করে চলেছে মাত্র ১১ বছর বয়সী শাকিল আহমদ সালমান। সে সিলেটের আখালি নয়া বাজার নূরানী হাফিজীয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
হাফেজ শাকিল আহমদ সালমান সিলেটের সাংবাদিক ফয়সল আহমদ সাগরের দ্বীতিয় ছেলে তার মা শাহেদা আক্তার সাকি গৃহিণী। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার হাটবন্দ। তাহার পিতা সাংবাদিক সাগরে একান্ত প্রচেষ্টায় তাকে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। যার ফলে সে অল্প বয়সে অল্প দিনে কোরআনের হাফেজ হয়ে মা-বাবা সহ শিক্ষকদের মন জয় করে নিয়েছে।
তার মাদ্রাসার শিক্ষকরা বলেন, ‘আমি অনেক ছাত্র পেয়েছি। শাকিল আহমদ সালমানের মতো পাইনি। তার মেধায় জাদুকরি শক্তি আছে। পড়া দেওয়ার সাথে সাথে মুখস্থ করে ফেলে। শিক্ষক ডেকে হাজিরা দেয়। চমৎকার সুশৃঙ্খল, অমায়িক ও মার্জিত হওয়ায় তার প্রতি সবার আকর্ষণটা আলাদা। সাধারণ ছাত্রদের চেয়ে ভিন্ন। সাদাসিধে শাকিল আহমদ সালমানের জীবন অনেক সম্ভাবনায় ভরা।
শিক্ষকরা আরো বলেন, সব ছাত্র যখন গভীর রাতে ঘুমিয়ে থাকে, ওই সময়েও উঠে পড়তে দেখেছি শাকিল আহমদকে। সবার আগে পড়া হাজিরা দেওয়ার প্রবল জেদ ছিল তার ভেতরে। ছিল না ফাঁকিবাজির চরিত্র। আচরণ ছিল মুগ্ধ হওয়ার মতো। আমল-আখলাকে পরিপূর্ণ এই ছেলেটি অনেক বড় হবে। তার জন্য অপেক্ষা করছে স্বর্ণালি সময়।
হাফেজ শাকিল আহমদ সালমানের পিতা সাংবাদিক ফয়ছল আহমদ সাগর জানান, আমি চাই আমার ছেলে বড় একজন হক্কানী আলেম হোক। তার লেখা পড়ার পাশাপাশি যা প্রয়োজন তা আমি হবন করে যাচ্ছি। সম্প্রতি আমার এক বন্ধু কাতার প্রবাসী সাইদুল ইসলাম সালমানের তেলায়াত শুনার পর সালমানের মাদ্রাসাসহ সালমানের সকল ধরনের সহযোগিতা করছেন তিনি। তাই আমি আমার ছেলের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রর্থী আল্লাহপাক যেন আমার ছেলেকে দ্বীনদার আলেম বানিয়ে দেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd