সিলেট ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর,বালিয়াঘাট,চাঁরাগাঁও,চাঁনপুর, টেকেরঘাট ও লাউড়গড় সীমান্তের বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামীদের নিয়ন্ত্রণে চলছে জমজমাট চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ।
সোর্সরা সিন্ডিকেডের মাধ্যমে প্রতিদিন ভারত থেকে কয়লা,মদ,গাঁজা,হেরুইন,ইয়াবা,চুনাপাথর,বল্ডারপাথর,গরু,ঘোড়া ও অস্ত্র পাচাঁর করার পর নামে-বেনামে লক্ষলক্ষ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে রাতারাতি হয়েছে একাধিক বাড়ি,গাড়ি ও জায়গা,জমিসহ বীমা ও ব্যাংক একাউন্টের মালিক। অন্যদিকে প্রতিবছর কোটিকোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এই চোরাচালান করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটিচাঁপা পড়ে ৫জন,ট্রলি দিয়ে চোরাই মালামাল পাচাঁর করার সময় ট্রলির নিচে পৃষ্ট হয়ে ৪জন,বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ডুবে ৭জনের মৃত্যু হয়েছে এপর্যন্ত। আর চোরাই কয়লার গুহা দখলসহ চোরাই কয়লা,ইয়াবা ও গরু পাচাঁর নিয়ে চোরাচালানীদের মধ্যে ইতিমধ্যে অনেকবার হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। তারপরও সোর্স পরিচয়ধারী ও চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার না করে,বিজিবি তাদেরকে বোগলদাবা করে ঘুরাগুড়ি করাসহ সোর্সদের বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত খায় বলে জানাগেছে।
এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিনের মতো আজ ০৫.১২.১৮ইং বুধবার ভোর ৫টায় উপজেলার বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স কয়লা,মাদক,চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলার আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,আব্দুল আলী ভান্ডারী,জিয়াউর রহমান জিয়া ও ল্যাংড়া বাবুল ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ারের নামে ৭০টাকা,হাবিলদার হুমায়ুনের নামে ২০টাকা,থানার নামে ৫০টাকা,সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের অধিনাকের (সি.ও) নামে ৫০টাকা চাঁদা নিয়ে চোরাচালান সিন্ডিকেডের সদস্য লালঘাট ও লাকমা গ্রামের চোরাচালানী মানিক মিয়া,এহসান মিয়া,খোকন মিয়া,রুবেল মিয়া,রবি মিয়া, রহমত আলী,কাসেম মিয়া,সুলতান মিয়া,এরশাদ মিয়া,রমজান মিয়া,তানজু মিয়া,কয়লা চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া,আবুল মিয়া,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,ইদ্রিস আলী,তিতু মিয়া, কামরুল মিয়া,রতন মিয়া,জহির মিয়া,আশিকনুর ও মজিবুর মিয়াকে দিয়ে ১১৯৬ ও ১১৯৭নং পিলার সংলগ্ন লালঘাট ও লাকমা এলাকার ১০টি চোরাই গুহা দিয়ে ভারত থেকে ২২মে.টন কয়লা,৭০০পিছ ইয়াবা,১২কার্টন অফিসার চয়েজ মদ পাচাঁর করে পার্শ্ববর্তী চুনখলার হাওরে নিয়ে ৫টি বারকি নৌকা বোঝাই করার সময় টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার আনিসুল হক অভিযান চালিয়ে ২মে.টন চোরাই কয়লা জব্দ করেন। আর বাকি মালামাল নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত দুধেরআউটা গ্রামের সি.ও’র সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া,তার ভাই মনির মিয়া,একই গ্রামের ধন মিয়া, তার ভাই লাক মিয়া,রতন মিয়াসহ রজব আলী,তার ছেলে জয়নাল মিয়া ও মাদক সম্্রাজ্ঞী আংগুরী বেগমের বাড়িতে নিয়ে ১৫মে.টন কয়লা,মদ ও ইয়াবা মজুত করাসহ পার্শ্ববর্তী বানিয়াগাঁও গ্রামে নিয়ে ৫মে.টন কয়লা মজুত করে রাখলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি। এব্যাপারে বিজিবির সোর্স কালাম মিয়া ও থানার সোর্স ল্যাংড়া বাবুল বলেন,আমরা যা করছি বিজিবি ও পুলিশকে নিয়েই করছি,আপনারা আমাদেরকে নিয়ে লেখালেখি করে কিছুই করতে পারবেন না। বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ার বলেন,আমাদের সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে কিনা তা জানা নেই,তবে খোঁজ নিয়ে দেখব। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুর রহমান বলেন,সীমান্ত এলাকায় বিজিবির কোন সোর্স নাই,যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করছে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd