সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আসন্ন ‘জোড় ইজতেমা’ নিয়ে দুই পক্ষে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিশ্ব তাবলিগ মারকাজের প্রধান মাওলানা সাদ কান্ধালভীর অনুসারীরা আগামীকাল ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের বার্ষিক ‘জোড় ইজতেমা’র প্রস্তুতি নিয়েছে। আয়োজনটি প্রত্যাখ্যান করে সাদবিরোধী কওমি আলেমরা ৭ থেকে ১১ ডিসেম্বর পাল্টা জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল দেখা যায়, সাদপন্থীদের জোড় ইজতেমা ঠেকাতে ইজতেমা ময়দানের চারটি গেটে কড়া পাহারা বসিয়েছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের অনেক ছাত্র। সাদপন্থী তাবলিগ জামাতের কয়েকজন অনুসারী কালের কণ্ঠকে বলেছেন, তাঁরা আগামীকাল থেকে ‘জোড় ইজতেমা’ করতে মরিয়া। তাঁরা সঙ্গে মই ও দড়ি নিয়ে আসবেন। গেট দিয়ে ঢুকতে না দিলে টপকে হলেও ময়দানে ঢুকবেন।
এমনকি হেফাজতের আমির আল্লামা আহমদ শফী সা’দপন্থীদের প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেওয়া টঙ্গীর মাঠে নবী-রাসুলদের সমালোচনাকারী মাওলানা সা’দপন্থী ওয়াসিফুল ইসলাম গং কোনো ধরনের জোড় ও প্রগ্রাম করার অধিকার রাখে না এবং করতে পারবে না।’
সাদপন্থী জামাতের শীর্ষ আলেম ও মজলিসে শুরা সদস্য ওয়াসেকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে উভয় পক্ষের আলোচনায় ইজতেমা ময়দান আপাতত খালি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু একটি পক্ষ ৭ থেকে ১১ ডিসেম্বর জোড় ইজতেমা এবং ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার ঘোষণা দেয়। তাই আমরা ৩০ নভেম্বর থেকে জোড় এবং ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিই। আমরা এ অনুসারে এগোচ্ছি।’
এদিকে সাদবিরোধী আন্দোলনের প্রধান, গাজীপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের আমির মুফতি মাসুদুল করীম বলেন, ‘বাতেলপন্থীরা বিশ্ব ইজতেমার মর্যাদা নষ্ট করতে ময়দানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd