সিলেট ১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
নিজেস্ব প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইয়াবা ও কয়লা পাচাঁর নিয়ে চোরাচালানীদের দুইগ্রæপের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়াগেছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ইয়াবা ব্যবসায়ী আশিকনুর (২৮) ও চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী আলতু মিয়া (৩০)কে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। এব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিনের মতো আজ ১৮.১১.১৮ইং রবিবার সকাল ৫টায় টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা,লালঘাট ও টেকেরঘাট এলাকা দিয়ে অস্ত্র মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুল-আবুল মিয়া গ্রæপ ভারত থেকে ৫০মে.টন কয়লার সাথে ইয়াবার চালান ভারত থেকে পাঁচার করে টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানে মজুত করে রাখে। আর সেই মালামাল আলতু মিয়া-বদিউজ্জামাল গ্রæপ চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর পাচাঁরকৃত কয়লা বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী সোহেল মিয়ার কাছে গোপনে বিক্রি করে দেয়। আর ইয়াবার চালান নিয়ে দুধেরআউটা গ্রামের কয়লা ও চাঁদবাজি মামলার আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া,মাদক স¤্রাজ্ঞী আংগুরী বেগমের বাড়িতে ও লালঘাট গ্রামের কয়লা ও মাদক মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া ও আব্দুল আলী ভান্ডারীর বাড়িতে নিয়ে পৃথক ভাবে মজুত করে। এখবর জানাজানি হওয়ার পর সকাল ৮টায় ল্যাংড়া বাবুল ও আবুল মিয়া তাদের লোকজন নিয়ে চোরাচালানী আলতু মিয়াকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধরি দিয়ে বেধে রেধরক মারধর করে। এঘটনার পর দুইগ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। অন্যদিকে তারই জেরধরে লাকমা ফুটবল খেলার মাঠে ইয়াবা ব্যবসায়ী আশিকনুর ও চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী রহিম উদ্দিনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আর এই পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষে ১০জন আহত হয়। এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন,চোরাচালানীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি জানতে পেরেছি,এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেকেরঘাট বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার আনিসুল হক বলেন,পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা ও মাদকসহ চোরাচালানীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য,লাকমা গ্রামের চোরাচালানী ল্যাংড়া বাবুল,লালঘাট গ্রামের চোরাচালানী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,আব্দুল আলী ভান্ডারী,দুধেরআউটা গ্রামের ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান জিয়া,তাজু মিয়া ও লাকমা গ্রামের চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অস্ত্র,কয়লা,মাদক ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা থাকার পরও তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। যার ফলে তারা নিজেদেরকে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে সিন্ডিকেডের মাধ্যমে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র,ইয়াবা,কয়লা,পাথর ও মদ পাচাঁর করে পাচাঁরকৃত মালামাল থেকে পুলিশ,বিজিবি ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ওপেন চাঁদাবাজি করে রাতারাতি হয়েছে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। কিন্তু এসব বিষয় দেখার কেউ নাই।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd