মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে বিশ্বনাথ এলাকায় প্রার্থীদের গুণকীর্তন সম্বলিত বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ কাজ শুরু করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে থেকে উপজেলা প্রশাসন এ অপসারণ কাজ শুরু করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরার নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে প্রদর্শিত বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করা হচ্ছে। এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তাদের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের গুণকীর্তন সম্বলিত বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার করে বিভিন্নস্থানে প্রদর্শিত ছিল। কিন্তু তা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের আওতায় পড়ায় রিটার্নিং অফিসার ও সিলেট জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অপসারণ করা হচ্ছে।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক গত শনিবার রাত ও গতকাল রবিবার সকাল থেকে ব্যানার ফেস্টুন নামিয়েছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীদের অনুসারীরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছের সঙ্গে সাটানো বিলবোর্ডগুলো নামানো শুরু করেন তারা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে প্রায় ৮ জন ব্যক্তির প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে তাঁরা উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়কসহ প্রতিটি রাস্তার দুই পাশের গাছগুলোতে পেরেক ঠুকিয়ে প্রচারণা বোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের প্রতিটি রাস্তার দুই পাশের গাছ, গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারের মধ্যবর্তী গাছে ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত ঢেকে ফেলা হয়েছে প্রচার বোর্ডে। বিগত দিনগুলোতে অল্প শুভেচ্ছাবার্তার বিলবোর্ড দেখা যেত। এবার তা বেড়েছে। অন্য দলের দু-একজনের প্রচার বোর্ড খুবই সীমিত দেখা গেলেও আওয়ামী লীগের দুইজন মনোনয়নপ্রত্যাশী সক্রিয় ছিল। তাঁদের রঙবেরঙের প্রচার বোর্ড লাগাতে পল্লী বিদ্যুৎ খুটি ও গাছগুলো ব্যবহার হয়ে আসছিল।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্বনাথে অগ্রিম সাঁটানো প্রচার উপকরণ অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার উপকরণ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিলে সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রচার উপকরণগুলো শনিবার রাত থেকে অপসারণ শুরু করেন তাদের অনুসারী নেতারা।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পাওয়ার পরপরই এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের লাগানো প্রচারমূলক বিলবোর্ড-ফেস্টুন গতকাল রোববার থেকে অপসারণ করার কাজ শুরু করা হয়। আজ সোমবার সকল বিলবোর্ড অপসারণ করা হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার জানান, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১৪ নভেম্বর রাত ১২টার আগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রচারণামূলক ব্যানার-ফেস্টুন ইত্যাদি অপসারণের কথা রয়েছে। সকলের সহযোগিতায় প্রচারণামূলক ব্যানার-ফেস্টুন ইত্যাদি অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে।