সিলেট ১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : জায়গার রকম পরিবর্তন করে জাল পরচা ও নামজারী তৈরি। ৬ লক্ষ টাকার সরকারী কর ফাঁকি। ৬০ হাজার টাকা ঘোষের বিনিময়ে দলিল রেজিস্ট্রি সহ নানা অভিযোগে সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রার সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও দুর্ণীতি দমন আইনে মামলা করেছেন এক আইনজীবী।
সিলেটের শাহপরাণ (রহ.) থানার মুক্তিরচর মুরাদপুর গ্রামের রবীন্দ্র চন্দ্র’র ছেলে আইনজীবী রতন মনি চন্দ্র সিলেটের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইবু্যুনালে এ মামলাটি দায়ের করা হয় । যা স্পেশাল মামলা নং ৪৪/১৮ ইং। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামীদের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন। আর ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারী পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
মামলায় আসামীরা হলেন, সিলেট সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. সহিবুর রহমান প্রধান (৪৫), সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কেরানী দিলীপ বাবু (৪৫), সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার জুলাইখাল সাতপারি গ্রামের হাবিবুল হকের ছেলে রফিকুজ্জামান (৫০), জৈন্তাপুর উপজেলার চতুলবাজার নোয়াখেল দক্ষিণ গ্রামের হুছন আলীর ছেলে আব্দুল মতিন(৫৫), কানাইঘাট উপজেলার পর্বতপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে নজমুল হোসেন(৪৫), এসএমপি’র শাহপরাণ (রহ.) থানার ভাটপাড়া নাথপাড়া গ্রামের সুনীল চন্দ্রনাথের ছেলে শংকর চন্দ্র নাথ (৩৫), তার ভাই সনৎ চন্দ্র নাথ (৪৫), এসএমপি’র মোগলাবজার থানার সিলাম হাজীপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে আব্দুল মোমিন(৩০), কোতয়ালি থানার পশ্চিম পীর মহল্লার মৃত সোনাহর আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৩০), কানাইঘাট থানার সাতপারি গ্রামের মৃত হাবিবুল হকের ছেলে মো. বদরুজ্জামান (৩৫), একই থানার পর্বতপুর ভাটিপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন (৩৫) ও সিলেট সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অন্যান্য কর্মচারী বৃন্দ। তাছাড়া এ ঘটনায় সাক্ষি রাখা হয়েছে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ জনকে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদি পেশায় একজন আইনজীবী। তাছাড়া আসামীরা একদলবদ্ধ জালিয়াত, প্রতারক ও দূর্ণীতিগ্রস্থ লোক। সিলেট সদর সাব রেজিস্ট্রার ২ অক্টোবর বাদীর কাছে একটি চিঠি প্রেরণ করেন। সেই চিঠিতে তিনি লেখেন, বিগত ১৩ সেপ্টেম্বর ১৮ ইং তারিখের ৭৬৪৭ নম্বর একটি দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন। যাতে ভূমির শ্রেণী বাড়ি, বরন্ডি ও সাইলের পরিবর্তে শ্রেণী আমন লিপিবদ্ধ করা হয়। যা সরকারের ক্ষতি হয়েছে ও তা আইন পরিপন্থি।
তিনি এই চিঠি পেয়ে সাব-রেজিস্ট্রার সিলেট অফিসে গিয়ে দেখন, তার দস্থখত জাল করে মোসাবিদাকারী হিসাবে তার নাম ব্যবহার করে সরকারের ৬ লক্ষ ৭ হাজার টাকা কর ফাঁকি দিয়েছে একটি চক্র। তিনি বিষয়টি সাথে সাথে দলিল লেখক সমিতির নেতাদের জানান। তখন দলিল লেখক সমিতির নেতারা জানান, ঐ অফিসের ২/৩ জন ও সাব-রেজিস্ট্রার সহ পেশকার এবং কয়েকজন মিলে সবার যোগসাজসে ঘোষের বিনিময়ে আরো অনেক দলিল এভাবে হয়।
তাছাড়া তারা এ বিষয়টি সমাধান করে দিবেন। বাদী দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেন ও খবর নিয়ে জানতে পারেন, সাব-রেজিস্ট্রার ও পেশকার ৬০ হাজার টাকা দলিল লেখক সমীরণের কাছ থেকে নিয়ে কালাম ও মোমিনের সাহায্যে এ দলিল রেজিস্ট্রি করেন। পরবর্তীতে মামলার বাদি শংকর চন্দ্র নাথের সাথে যোগাযোগ করেন। সে বাদীর চেম্বারে এসে জানায়, সে দলিল করে না। তার কার্ড নেই এবং তার ভাই দলিল করেন।
তাছাড়া সিলেট সাব রেজিস্ট্রার অফিসে আশি ভাগ দলিলই সাব-রেজিস্ট্রার, পেশকার, অফিসের কর্মচারী মিলে ঘোষের বিনিময়ে রকম পাল্টাইয়া কোটি কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল বিভিন্ন মোহরী ও দলিল লেখকগণ করে থাকেন। সে আরো জানায় দলিল করার সময় তার ভাইয়ের সাথে মোমিন ও কালাম ছিল। তারা সবাই আইনজীবীর স্বাক্ষর জাল করে দলিল সম্পাদন করেছে।
এ বিষয়ে সাবরেজিস্ট্রার মো. সহিবুর রহমান প্রধান জানান, তিনি শুণেছেন তার নামে মামলা হয়েছে। তবে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd