সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: অবশেষে পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে সিলেট চিড়িয়াখানা। সিলেট নগরীর টিলাগড়ে এই ‘বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র’ নির্মাণের ছয় বছর পর আনা হয়েছে জেব্রা, হরিণসহ ৯ প্রজাতির ৫৮ টি প্রাণী। ডিসেম্বরে নিয়ে আসা হবে বাঘও।
আগামী শুক্রবার (২ নভেম্বর) বিকেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে এই চিড়িয়াখানা। ওইদিন থেকে টিকিটের মাধ্যমে দর্শনার্থী প্রবেশ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম মনিরুল ইসলাম।
জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে গাজীপুর সাফারি পার্ক থেকে সিলেট চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয় দুটি জেব্রাসহ ৯ প্রজাতির প্রাণী। এরমধ্যে দুটি জেব্রা ছাড়াও রয়েছে- হরিণ ২টি, ময়ূর ১২টি, গোল্ডেন ফিজেন্ট পাখি ১টি, সিলভার ফিজেন্ট পাখি ৩টি, ম্যাকাও পাখি ৩টি, আফ্রিকান গ্রে পেরট ৪টি, সান কানিউর ৪টি, ছোট লাভ বার্ড ৩০টি ও অজগর ১টি।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, লোকবলের অভাবে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘদিন পরও এখানে প্রাণী আনা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার ৫৮টি প্রাণী নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও দুটি হরিণ আসবে। বাঘ নিয়ে আসা হবে ডিসেম্বরে।
তিনি বলেন, শুক্রবার থেকে টিকিটের মাধ্যমে দর্শনার্থী প্রবেশ শুরু হবে। নামমাত্র প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করতে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রমন্ত্রালয় থেকে অনুমোদন পাওয়া গেছে।
সিলেট বিনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে নগরীর টিলাগড়ে শুরু হয় টিলাগড় ইকো পার্কের নির্মাণ কাজ। পাহাড় টিলা বেস্টিত ও ঘন সবুজে আচ্ছাদিত ১১২ একর আয়তনের এই ইকোপার্ক তৈরিতে প্রথম পর্যায়ে ব্যয় হয় এক কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৬০০ টাকা।
এরপর ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সিলেটে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম চিড়িয়াখানা নির্মানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। টিলাগড়ের ওই ইকোপার্কে সে চিড়িয়াখানা নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়। চিড়িয়াখানা নির্মানের জন্য সে বছর ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বরাদ্ধও দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের কাজ তিন বছরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিলো।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেস করতে পারেনি সংশ্লিস্টরা। নির্ধারিত সময়ে বরাদ্ধের প্রায় ১০ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয় ৬ কোটি টাকা। মেয়াদ শেষ হওয়ায় বাকী টাকা ফিরিয়ে নেয় অর্থ মন্ত্রনালয়।
২০১৬ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রটি সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দপ্তরকে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, বণ্য প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের কাজ শুরুর দিকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে বণ্যপ্রাণী কেনা হয়। এদের মধ্যে রয়েছে- বাঘ, জেব্রা, ময়ুর, গোল্ডেন ফিগল প্রভৃতি। প্রায় ছয় বছর ধরে এগুলো গাজীপুরে সাফারি পার্কে ছিলো। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র পুরো প্রস্তুত না হওয়ায় এগুলো সিলেটে আনা যায় নি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের মেয়াদকালেই টিলাগড় ইকোপার্কে প্রাণীদের জন্য ১১টি শেড নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এরমধ্যে রয়েছে ময়ুর শেড, গন্ডার শেড, হরিণ শেড, হাতি শেড প্রভৃতি। শেডে থাকা ও বিভিন্ন সময় উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীর জন্য পুণর্বাসন কেন্দ্র এবং হাসপাতালও নির্মাণ করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd