শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকা পার হওয়ার সময় হঠাৎ শ্রমিকরা বাসটি থামিয়ে চালককে মারধর শুরু করে। তার মুখে শরীরে কালি লেপে দেয়। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে কয়েকজন ছাত্রীকেও কালি লেপে দেয় শ্রমিকরা। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও শুরু করে। পরে বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে বাস থেকে সবাইকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
বাসটির চালক মজিবর বলেন, বাসটিতে ৩৮ জন ছাত্রী ছিলেণ। তারা সবাই সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত। ছাত্রী বহনকারী বাসটি সাইনবোর্ড এলাকায় এলেই হামলা করে বাসের গ্লাস ভাঙচুর করে শ্রমিকরা। পরে ছাত্রীদের গায়েও কালি মাখিয়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেদৌরা বিনতে হাবিবা বলেন, ‘আমাকে চালক জানিয়েছে ঘটনা। সেখানে শ্রমিকরা কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করেছে এবং ছাত্রীদের সঙ্গে একটু সমস্যা হয়েছে। তাদের গায়ে কালিও দিয়েছে জানালো। বাসটি আপাতত একপাশে রাখা হয়েছে, কলেজে বাসটি ফিরলে বিস্তারিত জানতে পারবো।’
একই সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জে একটি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী না থাকায় কালি লেপে দেন শ্রমিকরা।
অ্যাম্বুলেন্সের চালক আব্দুল্লাহ জানান, ‘রোগী আনতেই তিনি যাচ্ছিলেন। রোগী আনতে গেলে তো খালিই যেতে হবে। তবে তার সেই কথা না শুনেই কালি ও পোড়া মবিল দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের বাইরের দিক ভরে ফেলে শ্রমিকরা।’