গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটর গোয়াইনঘাটে পাওনা টাকা ফেরৎ চাওয়ায় একাধিক মামলার ঘানী টানছেন সংখ্যালুগু ( হিন্দু ) পরিবার। উপজেলার ৪নং লেঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন আব্দুল হামিদের স্ত্রী মখলুমা বেগম কর্তৃক একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করায়। পুলিশের গ্রেফতার আতংক্সেক দীর্ঘ দিন থেকে ভূক্তভোগী সংখ্যালুগু ( হিন্দু ) পরিবার পলাতক রয়েছিল । দির্ঘ দিন আত্মগোপনে থাকার পর জামিন নিয়ে এসে গতকাল গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগি সংখ্যালুগু ঐ পরিবার।
জানাযায়, উপজেলার ৪নং লেঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন আব্দুল হামিদের স্ত্রী মখলুমা বেগমের পার্শ্ববতী বাড়ীর সুধন্য কুমার দেব’র স্ত্রী ডেইজি রানী দেব(৩৫)’র কাছ থেকে ( ০৫/০৮/২০১৭ ইং ) ষাট হাজার টাকা দুই মাসের ভিতরে পরিশোধ করিবেন বলে দ্বারনেন। দুইমাস অতিবাহীত হওয়ার পর ডেইজি রাণী দেব মখলুমা বেগমের কাছে তার পাওনা টাকা ফেরৎ চাইলে। দ্বারকৃত টাকা ফেরৎ না দিতে মখলুমা বেগম ডেইজি রানী দেবকে বিভিন্ন গালমন্দ ও মারধরসহ প্রাণে হত্যার হুমকি দেন। পরবর্তীতে মখলুমা বেগম আরো বেপোরোয়া হয়ে উঠে তার সহযোগিদের দিয়ে ডেইজি রানী দেব’র টিনের চালে ইট,পাটকেলসাহ নানা ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। এরপর মখলুমা বেগম বিগত ০৩/০৭/২০১৮ ইং ডেইজি রানী দেব ও তার স্বামী সুধন্য কুমার দেব এবং তার ভাই অপন দেবের বিরোদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশন (পিবিআই) সিলেট জেলা স্মারক নং- পিবিআই/ সিলেট জেলা/১৫৯৩, মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে (পিবিআই) অফিসার তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যে প্রমানিত হওয়ায় অভিযোগটি চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পরে আবার মখলুমা বেগম আমল গ্রহণকারী গোয়াইনঘাট আদালত,সিলেট সি.আর. মামলা নং-১৬৭/২০১৮ ইং দায়ের করিলে থানার পুলিশ অফিসারের নিকট এফ.আই.আর হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দিলে থানা পুলিশ অভিযোগটি পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার মামলা নং-১১, তারিখ-০৮/০৯/২০১৮ ইং ধারা-৪০৬/৪১৭/৪০৩/১০৯ দঃবিঃ রুজু করেন। মামলার ভয়ে পলাতক সুধন্য কুমার দেব ও স্ত্রী ডেইজি রানী দেব(৩৫) আত্মগোপনে থাকাবস্থায় বসতবাড়ী,পুকুরের মাছ লোটপাট করে নেয় হামিদ চেয়ারম্যনের সহযোগিরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোয়াইনঘাট বরাবরে করা অভিযোগে বাদী দাবি করেন, কাচাঁ ধান গরু ছাগল দ্বারা বিনষ্ট করিয়া প্রায় দশ হাজার টাকা,গাছের সুপারি লুট করে বিশ হাজার টাকা,পুকুর হইতে বেড়জাল দিয়ে ত্রিশ হাজার টাকার মাছ লুট করিয়া নিয়া যায়। তিনি আরোও জানান তার বিবাহ যোগ্য মেয়ে এবং স্কুল কলেজ পড়–য়া মেয়েকে প্রতিদিন অশালীন ভাষায় দূর্ব্যবহার ও কু-প্রস্থাব দেয়। প্রায় প্রতিরাতে ঘরের চালে ইট পাটকেল মারে। এতে করে মান-সম্মানের ভয়ে তার পরিবারের লোকজনদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান ডেইজি রাণী দেব। বাদী আরও অভিযোগ করেন যে,আসামী আব্দুল হামিদ একজন চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। সে আমার মেয়ের বিবাহের সময় দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরবর্তীতে আমার বাড়ী সংলগ্ন দশ শতক জমিতে সে বাড়ি তৈরি করার চাপ সৃষ্টি করে। আমি উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী মখলুমাকে দিয়ে একের পর নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলা দিতে থাকে। পরে আমি ও আমার স্বামী বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্ত হইয়া বাড়ি আসিয়া স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের নিকট বিচার প্রার্থী হলেও উল্টো আসামীগণ বিচার না মানিয়া আমাদের বাংলা ছেড়ে ভারতে পাঠাবে বলে হুমকি প্রদর্শন করছে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল জানান,বাদীনি ডেইজি রানী দেবের দায়ের করা একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ এর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন,আমার বিরোদ্ধে ইউএনও বরাবরে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা আমি শুনেছি।