প্রিন্সিপালে প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখে অন্তর্জ্বালায় তসলিমা নাসরিন

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৮

প্রিন্সিপালে প্রতি মানুষের ভালোবাসা দেখে অন্তর্জ্বালায় তসলিমা নাসরিন

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ইসলামী আন্দোলনের কিংবদন্তি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির, সিলেটের জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজীরবাজার মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানকে জানাযা শেষে নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণেই সমাহিত করা হয়েছে। সিলেট নগরীর আলীয়া মাদরাসা ময়দানে শুক্রবার তার জানাযার নামাজে লাখো মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে তাকে মানুষ কতোটা ভালোবাসতো। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ এসেছিলেন প্রিন্সিপাল হাবিবকে একনজর দেখতে ও জানাযায় অংশ নিতে। মাদরাসা ময়দান পেরিয়ে আশেপাশের রাস্তায় তিল ধারণের ঠাই ছিলনা।

প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের প্রতি সিলেটসহ গোটা দেশের মানুষের অগাধ ভালোবাসা দেখে এখনও অন্তর্জ্বালায় জ্বলছেন বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত ও বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। প্রয়াত এই ইসলামী রাজনীতিক চিরনিদ্রায় শায়িত হতে না হতেই বিতর্কিত এই লেখিকা নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তসলিমা মন্তব্যে লাখো মানুষের প্রিয় এই আলেমকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন।

তসলিমা নাসরিনে মন্তব্য অনেকটা ভাষায় প্রকাশ করা মতো নয়। নিজের ফেসবুকে আবারো আক্রমণমূলক ও প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য আবারও প্রমাণিত হল তিনি এখনও দেশে থেকে বিতাড়িত হওয়ার ক্ষত ভুলতে পারেননি।

১৯৯৪ সালে দেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান। সাহাবা সৈনিক পরিষদ নামক সংগঠনের ব্যানারে তখন তসলিমার বিরুদ্ধে তখন তুমুল আন্দোলন হয় দেশে। যার সূতিকাগার ছিলেন প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান। আর সেজন্য এখনও অন্তর্জ্বালায় জ্বলছেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ভারতেও থেকেও প্রিন্সিপাল হাবিবের প্রতি মানুষের অসামান্য ভালোবাসা তিনি সহ্য করতে পারছেন না।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তসলিমা নাসরিনের করা মন্তব্য তুলে ধরা হলো।

‘‘…মরেছে না বলে বলা হচ্ছেঃ ‘বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক, লেখক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মোফাসসেরে কুরআন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন’।

এই … মৃত্যুতে, বলা হচ্ছেঃ ‘সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ আলেমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে’।
কী জন্য … পরিচিতি হয়েছিল? বলা হচ্ছেঃ ‘‘১৯৯৪ সালে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সারাদেশে ব্যাপক পরিচিতি পান প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান। তার সংগঠন সাহাবা সৈনিক পরিষদের ব্যানারে ওই সময় সিলেটে অসংখ্য সভা-সমাবেশ করা হয়। এ ছাড়া দেশের নাস্তিক-মুরতাদবিরোধী আন্দোলনে সব সময়ই তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন’’।

আমার মাথার মূল্য ঘোষণা করেছিল … লোকটি। বাংলাদেশের আইনে ফতোয়া নিষিদ্ধ। কারও মাথার মূল্য ঘোষণা করা ক্রিমিনাল অফেন্স। কিন্তু লোকটিকে কোনও সরকারের আমলেই গ্রেফতার করা হয়নি। বরং একে দলে টানার জন্য প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মুখিয়ে ছিল। একটা … রাজা বাদশাহর মতো বেঁচে ছিল বাংলাদেশে। তার মৃত্যুতে এখন চারদিকে শোকের ছায়া।

ওই দেশ আমার নয়, ওই দেশ ওদের।’’

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2018
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..