সিলেট ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
গ্রেফতারকৃতরা মঙ্গলবারই রাত ৮ টার দিকে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুস সালামের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। এরপর আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইদ্রিস আলী জানান, জবানবন্দীতে পরকীয়া প্রেমের কারণে পরস্পর বিয়ে করার জন্য পরিকল্পিতভাবে স্বামী ও ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন দেবর-ভাবী।
তিনি বলেন, পাঁচ বছর যাবৎ অবৈধ প্রেমে এমনকি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত মগ্ন দেবর-ভাবী এরপর কয়েকবার ইউসুফকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। দেবর-ভাবী সম্পর্ক বজায় রাখতে দু’ভাইয়ের ঘরের মাঝের দেয়ালের কোনায় কিছু ইট খুলে দু’ঘরে যাতায়াতের একটি গোপন রাস্তা করে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিকল্পনামত ওই পথে বড়ভাইয়ের ঘরে ঢোকেন ইউনুস। তিনি ঘুমন্ত বড় ভাইয়ের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ঠেসে ধরেন। এসময় স্ত্রী মদিনা স্বামীর দু’পা চেপে ধরে রাখেন। এতেই মারা যান ইউসুফ।
এর পরেও মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইউসুফের গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আধা ঘন্টা তাঁকে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে তাকে বিছানায় শুইয়ে ইউনুস নিজ ঘরে ফিরে য়ান। পরিকল্পনামত ভোর রাতে স্বামীর পাশে শুয়ে থাকা মদিনা স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে চিৎকার করলে বাড়ির ও পাশ্ববর্তী লোকজন ইউসুফের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারে। গলায় দাগ দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে শনিবার (১৩অক্টোবর) সকালে ইউসুফকে তড়িঘড়ি দাফন করে। ঘটনাটি পুলিশের কানে গেলেও কোন অভিযোগকারী না থাকায় প্রথমে তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরে এনিয়ে গুঞ্জন বাড়লে তারা ইউসুফের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে। তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। গ্রেফতার করা হয় দেবর-ভাবীকে।
তিনি আরও বলেন, আদালতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে ওঠানোর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। অবিলম্বে ম্যাজিষ্ট্রেট্রের উপস্থিতিতে লাশ উঠিয়ে ময়নাতদন্ত করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd