জকিগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০১৮

জকিগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

Manual3 Ad Code

এনামুল হাসান :: সিলেটের জকিগঞ্জের ৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগে ব্যায়াপক অনিয়ম-দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। এসকল অনিয়মের প্রতিবাদে জড়িত ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণ এবং প্রকাশিত ফলাফল বাতিল করে পুণ:রায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবীতে জকিগঞ্জ এমএ হক চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারীরা।

Manual8 Ad Code

জানা যায়, গত সোমবার (অক্টোবর) বিকেলে জকিগঞ্জ বাজারের এম.এ হক চত্তরে এ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর জকিগঞ্জ থানা পুলিশের বাঁধায় পন্ড হয়ে যায় প্রতিবাদ।

এরপর সংক্ষিপ্ত পথসভায় উপজেলা জাপা নেতা মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও তালামিয নেতা মাহতাব আহমদের পরিচালনায় নেতৃবৃন্দ সভা করেন।

Manual7 Ad Code

সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা। এ ফলাফলে মেধাবীদের কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে তদন্ত করলে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসবে। বক্তারা দপ্তরী পদের নিয়োগ পরিক্ষার প্রকাশিত ফলাফল বাতিল চেয়ে পুণ:রায় সুষ্ঠ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা গ্রহণ করতে আহবান জানিয়েছেন।

Manual4 Ad Code

এদিকে গত রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজা নিয়োগ স্থগিতের ঘোষনা দেন। তবে দপ্তরী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা নিয়োগটি বাতিল করে আর্থিক লেনদেনে জড়িতদের বিচার দাবী করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার কাছে।

অপর দিকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিগণ অভিযোগ করেন, বড় অংকের লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগে কারসাজি করা হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সাইফুল ইসলাম এ কারসাজিতে লিপ্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিগণ আহবান জানিয়েছেন।

Manual3 Ad Code

নিয়োগ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহ বলেন, নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের ব্যাপারে আমি অবগত হয়েছি। নাম্বার পরিবর্তনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগ যখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তাই এ নিয়োগ বাতিল করাই ভালো।আরো জানা যায় গত ১১,১২,১৩, তারিখ জকিগঞ্জে ৩৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম – নৈশ প্রহরী পদে মৌখিক পরিক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকায় চাকরি দেওয়ার নামে অযোগ্যেদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
তাই এই দূর্নীতির বিরুদ্ধে গত ১৫ অক্টোবর রোজ সমবার দুপুর ২ (দুই) ঘটিকার সময় পুলিশের বাধা অপেক্ষা করে জকিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক এম এ হক চত্বরে এক বিশাল মানব বন্ধন অনুষ্টিত হয়।
উক্ত মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন জকিগঞ্জে এই রকম দূর্নীতি মেনে নেওয়া যাবেনা,তাই জকিগঞ্জ বাসির সময়ের দাবি এই নিয়োগ স্থগিত নয় বাতিল করে পুনরায় পরিক্ষা নেওয়ার জোর জন্য দাবি জানান বক্তারা।এবং জড়িতদের কে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেন যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে।অনুসন্ধানে দেখা যায় বিভিন্ন স্কুলের সভাপতি প্রধান শিক্ষক মিলে বোর্ডের অন্য সদস্যকে প্রবাহিত করে নাম্বার বিশি দিয়ে চাকুরী না হওয়ায় বিষয়টি আরো সামনে আসে।এতে করে ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।স্থানীয় কয়েকটি সূত্র বলছে বহু স্কুলে বিজয়ী প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জাল ও বয়স বেশি।তারা জেএসসি পরীক্ষার নিয়ম করার আগের স্টাডি দেখিয়ে সনদ সংগ্রহ করেছেন।এরকম একজনের নাম আরিফ।আরেক জনের বয়স বেশি তিনি মুক্তিযোদ্ধার কোটায় বিজয়ী হলেও স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে জাল সনদ সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ রয়েছে নাম্বার বেশি দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায় করা হয়েছে।জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি ইকবাল আহমদ তাপাদার নিজের ফেইসবুক ওয়ালে দুর্নিতির কথা স্বীকার করে একটি পোষ্ট ও দিয়েছেন।সীমান্তবিডি,র এ প্রতিবেদক মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি অনিয়ম ও দূর্নিতির কথা স্বীকার করে বলেন আমি রোধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেও বৃর্থ হয়েছি।আরো অভিযোগ রয়েছে ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল নাম্বার শিট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে তিনি স্বাক্ষর দেননি বলে জানান।অনুসন্ধানে আরো দেখা গেছে একজন প্রার্থীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বাংলাদেশের জাতীয় পাখির নাম কি সে বলে কোকিল তাকে নিয়ে হাসাহাসি করা হয়েছিল অবশেষে তারই চাকুরী হয়।আরো মজার ব্যায়াপার সে নাকি আগেই অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে বলছিল আমি আপনার স্কুলে আসবো দপ্তরি হিসেবে।আরিফ নামের এক প্রার্থীর খোজ নিয়ে জানা যায় সে হালের গুরু বিক্রি করে টাকা দিয়েছে তার চাকুরী ও হয়েছে কিন্তু সনদ জালের অভিযোগ উঠেছে।অনেকে আবার ভয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছে না।অন্য যে কোন ঝামেলার ভয়ে।এ বিষয় জানতে জকিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বার বার ফোন করে ও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।তিনি এসব বিষয়কে পাত্তা দিচ্ছেন না।উপজেলার সচেতন মহলের দাবি খুব ঠান্ডা মাথায় ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে কোন প্রমাণাদি না থাকে।যাতে কেউ প্রতারিত হলে আইনি কোন প্রতিকার না পায়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2018
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..