সিলেট ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পনিটুলা এলাকায় খাদ্যে বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে দুই পরিবারের প্রায় সবাইকে অজ্ঞান করে অন্তত ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
সুস্থ্য হয়ে ওঠা পরিবারের সদস্যরা জানান- পনিটুলা পল্লবি আবাসিক এলাকার ৩১/২ নং বাসায় দুটি ইউনিটে দুই পরিবারের বসবাস। শুক্রবার দুই পরিবারের সবাই প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খান। এরপর থেকে আর কিছুই তাদের মনে নেই। খবর পেয়ে আত্মীয় স্বজন এসে রাতেই শয্যাশায়ী অবস্থায় ১০ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চিকিৎসা নিয়ে সবাই বাসায় ফিরলেও এখন পর্যন্ত গুরুতর অসুস্থ্য রয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন- হ্যাপি দাস, জনি দাস, পলি দাস, বিজন দাস ও হৃদয় দাস।
এছাড়া বিষক্রিয়ায় অজ্ঞান ছিলেন- শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জহরলাল দেবের বাসায় সহকারি সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা কাজল দাস (৪৫), রিম্পা দাস (৩৪), অনুপ দাস, রুদ্র দাস ও অপর পরিবারের নমিতা দাসের স্বামী সুবোধ দাস।
পরিবারের সদস্য কাজল দাস জানান- সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফেরার পর দেখেন তাদের অনেক জিনিস এলোমেলো। তাছাড়া তাদের প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট হয়ে গেছে।
তাদের সাথে কারো শত্রুতা নেই উল্লেখ করে কাজল দাস বলেন- প্রথমে তারা খাদ্যে বিষক্রিয়া মনে করলেও স্বর্ণালংকার লুট হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ার পর বুঝতে পারেন যে, দুর্বৃত্তরা স্বর্ণালংকার লুট করতেই রান্নাঘরের পেছনের জানালা দিয়ে খাবারে বিষাক্ত পদার্থ মেশাতে পারে।
এদিকে খবর পেয়ে এসআই সুমনের নেতৃত্বে জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যপারে এসআই সুমন বলেন- তিনি গিয়ে অনেককেই অজ্ঞান অবস্থায় পান। তবে তিনি ফিরে আসার আগেই সবাই সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। তবে ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা তিনি বুঝতে পারেননি।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন- সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ দাস। তিনি ঘটনা তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
অপরদিকে ঘটনা অনেক বড় হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (শনিবার রাত ১২ টা) এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন জালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd