সরেজমিনে ঘুরে জানাযায়- বিগত ১০বৎসর হতে ২কিলোমিটার রাস্তায় ভাঙ্গন দেখা দিলেও সড়ক ও জনপথ কিংবা স্থানীয় প্রশাসন রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করনি। মামার বাজার হতে বল্লাঘাট পর্যন্ত সৃষ্ট হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে পন্যবাহি ও যাত্রীবাহি পরিবহন সমুহ। একের পর এক দূর্ঘটনার ফলে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বল্লাঘাট হতে।
জেলা পরিষদের মালিকানাধিন বল্লাঘাট পিকনিক সেন্টার সহ এখানকার ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ি ও সামাজিক সংগটন সমূহ রাস্তাটি সংস্কারের দাবীতে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্মারকলিপি, রাস্তা সংস্কারের দাবীতে মানব বন্দন পালন করে আসলেও রাস্তাটির সংস্কার হয়নি। পর্যটক না আসায় জেলা পরিষদের মালিকানাধিন প্রতিষ্ঠানটি লীজ নিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে লীজ গ্রহিতা মেসার্স সিরাজ এন্ড ব্রাদার্স এর প্রোপাইটার সিরাজুল ইসলাম কে।
লীজ গ্রহিতা সিরাজুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান- ২৩লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির লীজ গ্রহন করি। কিন্তু রাস্তার কারনে পর্যটরা গাড়ী নিয়ে সেন্টারে প্রবেশ করছে না। তাই চলতি বৎসরে লীজের এক তৃতীয়াংশ টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। অপনদিকে অবৈধ ভাবে পর্যটরা বিজিবি ক্যাস্প সংলগ্ন এরিয়া প্রবেশ করায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি জেলা পরিষদকে বার বার বিষয়টি জানানোর পর কোন কাজ হচ্ছে না। ক্ষুধা রেষ্টুরেন্টের মালিক সফিকুল ইসলাম বিক্রমপুরী জানান- দোকান ভাড়া কর্মচারীদের বেতন উঠে আসছে না।
শুধুমাত্র রাস্তার পরিস্থিতির কারনে এমনটাই হয়েছে। এছাড়া নারাণগঞ্জ রেষ্টুরেন্ট এর মালিক ফারুক মিয়া, মরিয়ম রেষ্টুরেন্ট এর মালিক তোতা মিয়া, মা-মনি কাপড়ের দোকানের মালিক নজরুল ইসলাম, শাহজালাল কুটি শিল্পের মালিক রুবেল আহমদ প্রতিবেদকে জানান- চিরচেনা বল্লাঘাটের এমন দূরদশা সৃষ্টি হবে এমনটা কখনও আশা করিনি। শুধুমাত্র মামার বাজার হতে বল্লাঘাট পর্যন্ত রাস্তার এমন পরিস্থিতির ফলে তা হয়েছে। তারা আরও বলেন পর্যটক না আসায় সরকারি প্রতিষ্ঠান সহ ব্যক্তি মালিকানাধিন এসকল প্রতিষ্ঠান লোকসান দিতে হচ্ছে। একদিকে যেমন সরকারী প্রতিষ্ঠান রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রাস্তা সংস্কার না হলে অচিরেই এসকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।
এবিষয়ে ঢাকা হতে আসা হানিফ পরিবহনের চালক তোফায়েল জানান- পূর্বের বৎসর গুলোতে আমরা মাসে ২-৩বার বল্লাঘাটে পর্যটক নিয়ে আসতাম। কিন্তু রাস্তার পরিস্থিতির কারনে এখন কেউ জাফলংয়ের বল্লাঘাটে আসতে চায়না। একবার যারা গাড়ী নিয়ে আসে তারা আর আসতে চায়না। জৈন্তাপুর হতে মামার বাজার পর্যন্ত রাস্তার পরিস্থিতি যেমন তেমন হলেও মামার বাজার হতে বল্লাঘাট এর পরিস্থিতি চরম। যার ফলে গাড়ীর মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে। এমন ভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা পর্যটকবাহী পরিবহনের চালাদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন- সিলেটে প্রবেশ করে জাফলংয়ের কথা মনে পড়লে আমরা আতংঙ্ক গ্রস্থ হয়ে পড়ি। তারা বলেন পর্যটন শিল্পটি ধরে রাখতে মামার বাজার হতে বল্লাঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানান।