সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮
সিলেট :: সিলেটের জকিগঞ্জে পুকুর ও জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত আব্দুল মুমিন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্ত্রী সেলিনা আক্তার। উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিজগ্রামের সেলিনা আক্তার তার স্বামী আব্দুল মুমিন হত্যা মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং হুমকী দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। রোববার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেলিনা এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করায় তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। হামলার সাথে ১৫-২০ জন জড়িত। কিন্তু পুলিশ মামলা নিয়েছে ৭ জনের বিরুদ্ধে। তিনি বাদা পড়া আসামীদের মামলায় অন্তভূক্তির দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে সেলিনা উল্লেখ করেন, তার স্বামীর সাথে চাচা শ্বশুরের দেবরদের বাড়ীর পুকুর ও জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছে। পাশ্ববর্তী বাড়ীর লোকদের সাথে মসজিদ কেন্দ্রিক পূর্ব শত্রুতা ছিল। সেই আক্রোশ তার ভাসুর আরু হোসেনকে মারধর করায় স্বামী মুমিন বাদী হয়ে আসামী কাওছার গংদের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানার মামলা (নং-৯, তাং-১৮/০৩/২০১৮) করেন। পরবর্তীতে তার স্বামী রাস্তায় মোবাইল ফোনে আলাপরত অবস্থায় প্রতিপক্ষ হামলা করে। তাকে প্রথমে ওসমানী হাসপাতালে ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ মার্চ মারা যান। এ ঘটনায় কাওছার আহমদ, ওয়েছ আহমদ, ছয়েফ আহমদ সাইফ, আব্দুল কাদির, গুলজার হুসাইন, জুনেদ আহমদ, উবেদ আহমদ, লেইছ, সুলতান, মোসাদ্দিক, ফাহিম আহমদ, নজু মিয়া, মোস্তাক আহমদ, আক্তার, শামীম আহমদসহ ৪-৫ জনকে আসামী করা হয়। কিন্তু ওসি ৭জনকে আসামী করে একটি মামলা গ্রহন করেন। সেলিনা জানান, ওসি পরবর্তীতে বাকী সব আসামীদের অন্তভর্’ক্তির আশ্বাস দিলেও তাদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। পরবর্তীতে তার ভাসুর লেকু মিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (সি.আর.মামলা নং-৬৭-২০১৮)। যার রিপোর্ট থানা পুলিশ এখনো দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিনা দাবি করেন, আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে এবং মোবাইল ফোনে তাদের পরিবারের লোকজনকে আসামীরা হুমকি দিচ্ছে। থানা থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তিনি তার দুই অবুঝ সন্তান ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্ত দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd