গোয়াইনঘাটে ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেহব্যবসায়ীদের জিডি : এলাকায় তোলপাড়

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৮

গোয়াইনঘাটে ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেহব্যবসায়ীদের জিডি : এলাকায় তোলপাড়

Manual6 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদন :: সিলেটের গোয়াইঘাটে দেহব্যবসার অভিযোগ স্বীকার করে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ায় সিদ্ধান্ত নেয় সফা ও তার পরিবার। অন্যায় ও বে-আইনী কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

Manual2 Ad Code

জানা গেছে, উপজেলার মনরতল গ্রামের জনৈকা সফা বেগম ও তার যুবতী মেয়েরা দীর্ঘদিন যাবত দেহ ব্যবসা করে আসলে এলাকার যুবদের মধ্যে নৈতিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি হয়। তাদের এহেন অপকর্মে বাঁধা দিলে মিথ্যে মামলা ও হামলার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল তারা। এমন অভিযোগে এলাকার জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ফলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে এলাকায় মাতব্বরদের এক বৈঠক বসে। বৈঠকে কথিত দেহব্যবসায়ী সফা তার পরিবার গ্রাম থেকে চলে যাওয়ার কথা বলে তবে তাকে তার যায়গা জমির হক মূল্য দিতে হবে। সফা বেগমের কথা মতো ক্ষেতের জমিসহ বাড়ির মূল্য ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়।এতে সফা বেগম ও তার পরিবার সন্তুষ্ট হয় এবং তখন জনৈক ফখর উদ্দিনের কাছে এই দামে যায়গা জমি বিক্রি করা হয়।সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফখর উদ্দিনের কাছ থেকে বাড়ির মূল্যের অগ্রীম ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে সফা বেগমকে দেয়া হয়। বাকি টাকা গ্রহণ করে ফখর উদ্দিনকে বাড়ির দখল সমঝে দিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সফা বেগম বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে বলে । সালিশে নেতৃত্ব দেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও মেম্বার আব্দুল মুমিন মুন্সি-সহ মাতব্বরগন। ইত্যবসরে সফা বেগম তার অনুসারীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে শুরু করেন। বাড়ি ছেড়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরামর্শ নিতে থাকেন। তার পক্ষের লোজনের পরামর্শ অনুযায়ী সফা বেগম বেআইনী বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টার অভিযোগ এনে গত ২৭ আগস্ট গোয়াইনঘাট থানায় উপজেরা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-১০৯০) করেন। সাধারন ডায়েরী করার পর থেকে আইনের বেড়াজালে আটকা পড়ে যান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন-সহ সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয় তোলপাড়।

Manual2 Ad Code

গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, একজন মহিলা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ এনে কমমূল্যে বাড়ি বিক্রি করে চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ন অন্যায় ও বেআইনী কাজ। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Manual7 Ad Code

জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট থানার এসআই পিযুষ কান্তি দাস জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আদালতের অনুমতিক্রমে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..