মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে ‘বাসিয়া সেতুর’ ওপর ভাসমান ব্যবসায়ীরা ফুটপাত দখলে করে বসিয়েছে অস্থায়ী বিভিন্ন জিনিসপত্রের ব্যবসা। ঈদকে সামনে রেখে সম্প্রতি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বাসিয়া সেতুর ফুটপাত দখল করে তারা নিজনিজ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এতে বর্তমানে সেতুর দুটি ফুটপাত ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থী-পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ এলাকার শতশত মানুষ যাতায়াত করে আসছেন।
উপজেলা সদরের দুটি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বাসিয়া সেতুর ওপর অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন নিত্যপন্য জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে। যার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তেমন কোনো বিক্রি হচ্ছেনা। তারা সেতুর ওপর অস্থায়ী ব্যবসা তুলে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আজ সোমবার বিকেলে সরেজমিনে বাসিয়া সেতুর ওপর ঘুরে দেখা যায়, সেতুর ফুটপাতের মধ্যে প্রায় ২৫টি ভাসমান অস্থায়ী নিত্যপন্যের দোকান বসানো হয়েছে। এরপর আরো ৭-৮টি বিভিন্ন ধরনের ভাসমান দোকান রয়েছে। ফুটপাত দখলে করে ভাসমান ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করে আসছেন। বাসিয়া সেতুর ফুটপাত দখলে থাকায় পথচারী-বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হিমশিম খেতে দেখা যায়। ফলে সতর্কতার সঙ্গে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। চালকদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। অনেক সময় সেতুর ওপর বিভিন্ন যানবাহন রাখার ফলে মাঝে মাঝে জানজটের সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে সেতুর ওপর কলা বিক্রেতা ব্যবসায়ী মনির মিয়া বলেন, গত দুই দিন ধরে তিনি এখানে ব্যবসা করে আসছেন। তবে কেউ বাঁধা না দেয়ায় তিনি নির্ভয়ে ব্যবসা করছেন।
অটোরিকশা চালক সফিকুল ইসলাম বলেন, বাসিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর দু-পাড় ভাসমান দোকানের দখলে থাকায় পথচারিরা সড়কে ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। ফলে গাড়ি নিয়ে সেতুর ওপর আসার পর অনেক সর্তকতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, যারা সেতুর ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করে আসছেন, তাদের তুলে দেয়া হবে।
Sharing is caring!