সিলেট ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সৎবাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ১২ বছরের এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় সৎবাবা সোহাগকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৎবাবাকে আটক করা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরী স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষণের কথা স্বীকার করে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বিয়ে করার কথা পুলিশে জানিয়েছে সৎবাবা।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, তার আগের ঘরের সংসারে এক কন্যাশিশু রেখে তার স্বামী চলে যান। পরে কোলের শিশুকে নিয়ে সোহাগকে বিয়ে করেন তিনি।
সোহাগ অনাবিল পরিবহনের হেলপার হিসেবে কাজ করলেও সংসারে অভাবের কারণে গার্মেন্টে চাকরি নেন কিশোরীর মা। সকালে ডিউটিতে চলে যাওয়ার সুযোগে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে সোহাগ।
পরে কিশোরীর পেটে ব্যথা উঠলে ওষুধ সেবন করায় সোহাগ। কিন্তু এতে ব্যথা কমেনি। পেট ব্যথার মাত্রা বাড়লে সোমবার নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে বাবা জানায়, মেয়ের পেটে কৃমি হয়েছে। তখন মেয়ের আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্টে প্রকাশ পায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। পরে মেয়েকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে সৎবাবা সোহাগের কথা জানায়।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, সৎবাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর ঘটনা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় ধর্ষক বাবাকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে বিয়ের করার কথা জানায় সোহাগ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd