তাহিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা, অর্থের বিনিময়ে পদন্নোতি ,বদলী বানিজ্য

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০১৮

তাহিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা, অর্থের বিনিময়ে পদন্নোতি ,বদলী বানিজ্য

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা বেহাল অবস্থা। শিক্ষকরা স্কুল ফাকিঁ দিয়ে করছে রাজনীতি,পদোন্নতি আর বদলী বানিজ্য নিয়ে দৌড়যাপ দালাল ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সাথে। শিক্ষকগন নিয়মিত স্কুলে না যাওয়াসহ আরো একাধিক কারনে হাওরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার নাজেহাল অবস্থায় পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে অভিবাবক মহলে। এছাড়াও সম্প্রতি চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক পদে পদনোতিতে তাহিরপুর উপজেলাসহ ১১টি উপজেলায় ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একাধিক লিখিত অভিযোগ করায় জেলা প্রশাসক তর্দন্তের নির্দেশ দেন। ১লা জুলাই ৩সদস্য বিশিষ্ট ৭দিনের মধ্যে তর্দন্ত রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানাযায়,তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ১৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। স্কুল গুলো বেশীর ভাগ হাওরপাড়ে অবস্থিত। এই সব স্কুল গুলোতে প্রথমে চাকরী পাওয়ায় যোগদান করেন। পরে শুরু হয় উপজেলা সদরের কাছে অথবা নিজ বাড়ির কাছের স্কুলের বদলীর তদবীর। এসব স্কুলের দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে সহকারী শিক্ষকগন নিজের সুবিধা মত স্কুলে যোগদান করতে না থাকার পরায় নানান অযুহাত দেখিয়ে সকাল ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত স্কুলে উপস্থিত থেকে পাঠ্যদান না করিয়ে স্কুল ফাকিঁ দেওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরছে। আর শিক্ষকরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আতাত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের রাজনীতি করছে। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে অভিবাবক মহলে,শিক্ষকগন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় বড় পদে পদায়ন থাকায় বিভিন্ন মিটিং মিছিল,সমাবেশ ও আন্দোলনের মাঝে নিজ ক্ষমতা ধরে রাখতে দেখা যায়। যার ফলে ঐসব স্কুল গুলোর শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর অনেক শিক্ষকগন কাগজে পত্রে ছুটি না নিয়ে ইচ্ছা মত ছুটি কাটান আর মাসের পর মাস বেতন ভাতা উত্তোলন করছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে সাথে যোগ সাজোসে। আর সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন না। শিক্ষক নেতারাও নিজেদের ক্ষমতা ঠিকিয়ে রাখতে কোন শিক্ষক ঐসব অন্যায়,স্কুল ফাকিঁ দিলেও তাদের বিরোদ্ধে কোন কথা বলেন না। সম্প্রতি মোহাম্মদ আমির হোসেন নামে তাহিরপুর উপজেলার এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধম্য ফেইসবুকে নিজের আইডিতে তিনি লিখেছেন,তাহিরপুর উপজেলার শিক্ষকার মান নিন্মমুখী হচ্ছে। শিক্ষক নেতারা শিক্ষা প্রতিষ্টান বাদ দিয়ে বিদ্যালয় চলাকালীর সময়ে বাজারে,রাজনৈতিক বিভিন্ন মিটিং মিছিছে থেকে নিজেরদের উদ্দেশ্য হাসিল করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকগন বলেন,আমাদের কোন রাজনৈতিক দলের বড় পদ নাই তাই ক্ষমতা দেখাতেও পারি না। যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে জরিত শুধুই নয় বড় বড় পদ দখল করে আছে বিভিন্ন দলের। তারাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদন্নোতি,বদলী বানিজ্যসহ বিভিন্ন কাজে জরিয়ে পড়ছে অর্থের বিনীময়ে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আতাত করে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্কুলের চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের পদন্নোতি হয়েছে গোপনে অবৈধ ভাবে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যারা দিয়েছেন তাদের। এই বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস আরমের কাছে জানতে গত তিন দিন ধরে বার ফোন দিলেও ফোন রিসিব করেন নি ও এসএসএম দিলেও কোন উত্তর পাওয়া যায় নি। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী জানান,চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক পদায়নের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আর যে শিক্ষকগন নিয়মিত স্কুলে না গিয়ে ও রাজনীতির কাজে জরিত থাকবে তাদের বিরোদ্ধে গুরুত্ব সহকারে খোজঁ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আমার উধর্বতন কতৃপক্ষকে যানাব। তর্দন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ নূরজ্জামান বলেন,জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরোদ্ধে নানা অভিযোগের বিষয়ে তর্দন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত তর্দন্ত শেষ করে তর্দন্ত রিপোর্ট জমাদেব।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..