সিলেটের ক্বিন ব্রিজের নিচে গাঁজা সেবনকারীদের স্থান দিলেন আরিফ

প্রকাশিত: ৪:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০১৮

সিলেটের ক্বিন ব্রিজের নিচে গাঁজা সেবনকারীদের স্থান দিলেন আরিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র সুরমা পয়েন্টের নিকটবর্তী, সুরমা নদীর তীরবর্তী সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্যের ক্বিন ব্রিজের নিচে সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা আর দিনের আলো থেকে রাতের আধারে চলে নির্ভয়ে গাজা সেবন ও উন্মুক্ত প্রস্রাব করা।

ক্বিন ব্রিজের নিচে ছিল একটি সুন্দর নার্সারি ওই স্থানে মানুষ ভিড় করে বৃক্ষ ক্রয় করতে আসতো ছিল মানুষে আনা-গোনা। কিন্তু বিগত কয়েকদিন আগে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নার্সারি উচ্ছেদ করে দিয়ে এখন আবার আগের মতো স্থান নিয়েছে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা ও মাদক সেবনকারীরা।

আরিফুল হক চৌধুরী গত ২৮ জুন দায়িত্ব হস্থান্তর করেন তিনি বর্তমানে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়ে মাঠে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ক্বিন ব্রিজের নিচ দিয়ে সার্কিট হাউজের পাশের রাস্তা ধরে দৃষ্টি নন্দন নদীর তীরের দিকে হেঁটে গেলেই যে, কারো নজরে পরবে সার্কিট হাউজের দেয়াল ঘেষা ফুটপাতে কয়েক জন দেহ ব্যবসায়ী নারী খদ্দেরের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। একজন খদ্দের পেলেই দেহ ব্যবসায়ী নারীরা ঢুকে যান খদ্দের নিয়ে অন্ধকার নোংরা ব্রিজের নিচে। এই দেহ ব্যবসায়ী নারীদের খদ্দের অধিকাংশ নিন্ম শ্রেণীর পুরুষ ও উঠতি বয়সি যুবকরা। প্রতিদিন চলছে এভাবে অসামাজিক কার্যকলাপ।

দিনের আলো কিংবা রাতের আধারে সার্কিট হাউজের দেয়াল ঘেষা ফুটপাত যেন উন্মুক্ত প্রস্রাব খানা। আর রাস্থার দু-পাশ যেন গাজা সেবনের নিরাপদ স্থান। এই পথ ধরে হাটলেই যে কোন সময়, যে কারো চোখে পরবেই লাইনে দাঁড়িয়ে ফুটপাতের পথচারী, দোকানী, রিক্সা কিংবা ভ্যান ড্রাইভারদের প্রস্রাব করার দৃশ্য। আর নাকে ভেষে আসবে গাঁজা সেবনের ঝাঁঝালো গন্ধ। যদিও প্রশাসনের কারো নজর পরেনা।

সিলেট মহানগরীর ইতিহাস ঐতিজ্যের ক্বীন ব্রিজ, দেশের দীর্ঘতম সুরমা নদী, আলী আমজাদের ঘড়ি, আলী আমজাদের ঘড়ি, পীর হাবিবুর রহমান লাইব্রেরী, সারদা হল, দৃষ্টিনন্দন সিলেট সার্কিট হাউসকে ঘিরে লেগে থাকে দিন রাত দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভীর। এখানে বেড়াতে আসা হাজার হাজার পর্যটক গাজার ঝাঁঝালো গন্ধে বিরক্ত হোন। এবং বউ বাচ্ছাকে নিয়ে আসা পর্যটকরা সন্ধ্যার পরে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা দেখে লজ্জিত হয়ে চেহারায় বিরক্ত প্রকাশ করেন। যা সিলেট মহানগরবাসীর জন্যও লজ্জা।

ক্বিন ব্রিজের এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে সিলেট কোতোয়ালি থানা, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়, অস্থায়ী সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট জেলা আদালত, ডিসি কার্যালয়, গণপূর্ত বিভাগ, জেলা পোষ্ট অফিস, নির্মাণাধীন সিলেট সিটি কর্পোরেশন, বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিলেট স্টেশন ক্লাব, পার্ক সহ অসংখ্য সরকারী বেসরকারী অফিস সমূহ। রয়েছে অসংখ্য মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, শপিংমল, কাচা বাজার।

এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা, গাজা সেবন ও উন্মুক্ত প্রস্রাব করা মেনে নিতে পারেন না সিলেটের নগরবাসী সহ দেশী বিদেশী পর্যটকরা। প্রশাসনের অন্ধত্বের ফলে দিন দিন এই অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্শ গতিতে । যা সিলেটের পর্যটন শিল্পে বেপক ভাবে প্রভাব ফেলছে। বাড়িয়ে দিচ্ছে সিলেট মহানগর বাসী সহ পর্যটকদের স্বাস্থ্যের উপর ঝুকি। এই স্থান থেকেই দেহ ব্যবসায়ী নারী, নিন্ম শ্রেণীর পুরুষ ও উঠতি বয়সী যুবকদের অবৈধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ দৈহিক মিলনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরতে পারে মহামারী আকারে মরণ ব্যাধি এইচ.আই.ভি এইডস সহ অসংখ্য রোগবালাই। প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য গাঁজা সেবন, উন্মুক্ত প্রস্রাব যে, শুধু স্বাস্থ্যের উপর ঝুকি ফেলছে তা নয়। করছে আলো বায়ু ও পরিবেশ দূষণ। নষ্ট করছে শান্তিপ্রিয় সিলেটবাসীর সুখ শান্তি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন


আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..