সিসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের উপর যত মামলা

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০১৮

সিসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের উপর যত মামলা

স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। তবে দলীয় সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্রোহ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।

অন্যদিকে জামায়াতের নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে, তাই দলটির সিলেট মহানগর শাখার আমির এহসানুল হক জুবায়ের স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে অংশ নেয়া এসব মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে কামানের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই। আরিফের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা, সেলিমের বিরুদ্ধে ৬টি এবং জুবায়েরের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা রয়েছে।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন ও সিপিবি-বাসদের মেয়র প্রার্থী আবু জাফরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। অপর তিন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের, কাজী জসিম ও মুক্তাদির হোসেন তাপাদারের বিরুদ্ধেও কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। অবশ্য এ তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সোমবার বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান। তবে তারা আপিল করতে পারবেন।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ ও সাবেক সিটি মেয়র নেতা বদর উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭-২০০৮ সালে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই সময় কারাগারেও যেতে হয় কামরানকে।

কামরান জানিয়েছেন, আদালতে আদেশে চারটি মামলা থেকেই তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন।

বিএনপি নেতা ও সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাতটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। কয়েকটি মামলায় আরিফকে দীর্ঘদিন কারান্তরীণ থাকতে হয়েছে।

আরিফ জানিয়েছেন, বর্তমানে এসব মামলার কয়েকটি থেকে আদালতের নির্দেশে তিনি জামিনে আছেন এবং কয়েকটি মামলা স্থগিত রয়েছে।

বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান সেলিমের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলার কার্যক্রম চলমান আছে। তবে এসব মামলার কোনোটিতেই তিনি সাজাপ্রাপ্ত হননি।

মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪টি মামলা রয়েছে জামায়াত নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের বিরুদ্ধে। এসব মামলা পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মামলাগুলোয় জুবায়ের সাজাপ্রাপ্ত হননি, তাই তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে ইসি। চলমান এসব মামলা ছাড়াও জুবায়ের আরো নয়টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।

সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান জানান, আইন অনুসারে, কোনো প্রার্থী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..