শাহজালাল মাজারে মুসল্লিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা!

প্রকাশিত: ১২:২০ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩০, ২০১৮

শাহজালাল মাজারে মুসল্লিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা!

Manual5 Ad Code

আমির হোসেন সাগর :: সিলেটের হযরত শাহজালাল মাজারে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আশেকান ও মুসল্লিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

Manual6 Ad Code

মুসল্লি মহিলা ও পুরুষদের অভিযোগ আমরা প্রসাব করতে গেলে প্রতি ১ বারে দেয়া লাগে ৫ টাকা,পায়খানা করলে ১০ টাকা,গোসল করলে ১৫ টাকা এবং কাপরটা পালটাতে কোনো রুমে গেলেও দিতে হয় ১৫ টাকা।

Manual3 Ad Code

তাছাড়া রাত ১০ টার পর থেকে মহিলা ও পুরুষের নামাজ পড়ার এবাদত খানা বন্ধ করে রাখা হয়।

Manual7 Ad Code

আমরা নামাজ পরতে পারছি না ভাবছিলাম এখানে এসে সারা রাত নামাজ পড়বো এবাদত বন্ধেগী করবো, পরদিন সকালে ফজরের নামাজ পরে গাড়িতে উঠে নিজে বাড়িতে চলে যাবো।

কিন্তু তা আর হলোনা। শুধু ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি যেতে হবে। মাজারে আসা বক্তরা আরো বলেন হাজার হাজার মানুষ এই ওলির মাজারে এসেছেন কিন্তু মানুষ থাকার জন্য ওরা কি ব্যবস্থা করেছে দেখুন বৃষ্টির পানিতে মানুষ ভিজতেছে।এই সব কি সিলেটের মানুষ দেখেনা।

Manual5 Ad Code

মাজারে পরিচালনা কমিটির দরগা অফিসে যোগাযোগ করলে অফিসে প্রধান মোঃ সামুন মাহমুদ বলেন প্রসাব,পায়খানা গুসল করিয়ে টাকা নেয়াটা দুঃখ জনক,মানুষ অলির বাড়িতে আসে নামাজ এবাদত করার জন্য এরা আমাদের মেহমান আর আমরা তাদের কাছ থেকে প্রসাব পায়খানার টাকা নেই এটা খুব কারাপ কাজ। এতে শুধু মাজারের সুনাম নয় পুরো সিলেটের বদনাম হচ্ছে। তিনি বলেন আমার কিছু করার নেই আমি এই দরগা অফিসের এই ছোট্ট বক্সে যা টাকা উঠে এ দিয়ে আমি সকল কর্মচারি কেরানি সহ সকলের বেতন দিতে হয়। সবাইকে খাওয়াতে হয় এই টাকা দিয়ে।কিন্তু মাজারের ডেগে,মসজিদে,মাজারের ভিতরে যা টাকা উঠে সব টাকা বস্তা বরে নিয়ে যান প্রভাবশালীরা একেক দিনের টাকা ,একক জনে নিয়ে যান। এভাবে প্রায় ৪০ জন আছেন টাকার ভাগ নিয়ে থাকেন। এই লক্ষ লক্ষ টাকা মানুষ দেন ওলির মাজারে নিয়ত করে,কিন্তুু এই টাকা মাজারের কোন কাজে লাগছেনা। বড় বড় মাথা আলাদের পেটে চলে যাচ্ছে,ওই টাকা থেকে যদি প্রতি দিন কিছু টাকা তারা কর্মচারিদের দিতেন তাহলে এই বদনাম হতনা প্রসাব পায়খানায় গোসলে কোনো টাকা নেয়া লাগতো না।কি করবো আমাদের কপাল খারাপ,ক্ষুভে তিনি বলেন যারা এই টাকা নিয়ে খাচ্ছে, কি খাচ্ছে হারাম না হালাল। অবশেষে তিনি বলেন আমি এই বাথরুম নিয়ে পরিকল্পায় আছি এটা বাস্তবায়ন হলে মানুষ আর টাকা দিতে হবেনা, তিনি ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে যে বাথরুমের সহ পুরো মাজারে ড্রংই করেছেন তা দেখিয়েছেন,এমনকি তিনি বলেন প্রধান মন্ত্রীর সাথেও এ বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন। এসকল লোকের কবল থেকে পবিত্র মাজারকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

June 2018
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..